পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতে গরমের যে তীব্র দাপট শুরু হয়েছে তাতে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। সাধারণ মানুষ সকাল হলেই বাড়ির বাইরে পা রাখা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে। তবুও যাদের বাইরে বাইরে কাজ তাদের তো বেড়াতেই হবে। কারণ পেটের দায় রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ যে রকম কষ্ট করছে তার থেকে একটু হলেও বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে অভিনেতা অভিনেত্রীদের।
আপনারা অনেকেই হয়তো মানবেন যে অভিনেতা অভিনেত্রীদের বিশেষ কষ্টটা বেড়ে যায় যখন তাদের প্রতিদিন শুটিং এ গিয়ে নিজেদের পোশাক পাল্টে চরিত্রের জন্য পোশাক করতে হয় এবং তার থেকেও বড় কষ্ট হলো কতক্ষণ ধরে টানা শুটিংয়ের জন্য মেকআপ এবং পোশাক রাখতে হয়। সাধারণ মানুষকে দীর্ঘক্ষন ওই পোশাক এবং মেকআপ রাখতে হচ্ছে না। কিন্তু নায়ক নায়িকাদের ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই কর্তব্য।
ফলে এই কষ্ট অনেকেই বুঝতে পারছে এখন। তার মধ্যেও আরো বেশি কষ্ট হল যদি একজন নায়ক বা নায়িকাকে একের বেশি চরিত্র করতে হয় তবে। এই মুহূর্তে বাংলা সিরিয়ালে এই ধরনের ডাবল রোল করছে মিঠাই ধারাবাহিকের অভিনেত্রী। সৌমীতৃষা কুণ্ডু একদিকে মিঠাই আর অন্যদিকে মিঠি। তার একই অঙ্গে দুটো ভিন্ন রূপ।
যেমন দুটো চরিত্র আলাদা, তেমন দুটো চরিত্রের সাজ পোশাক সম্পূর্ণ আলাদা। একটা বিবাহিত চরিত্র আর আরেকটা অবিবাহিত। একটা চরিত্রের জন্য তাকে শাড়ি পরতে হচ্ছে এবং আরেকটা চরিত্র আধুনিক পোশাক পরে। তাই একদিন তাকে এক রূপে এবং অন্যদিন অন্যরূপে শুট করতে হচ্ছে। অন্যদিকে নায়ক নায়িকাদের আরও বেশি চাপ থাকে শুটিংয়ের পর্ব ব্যাঙ্কিং করা নিয়ে। অনেক সময় আগে থেকেই চ্যানেলের তরফে বলে দেওয়া হয় বেশ কিছু পর্ব এগিয়ে রাখতে হবে অর্থাৎ শুটিং সেরে রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে হাজার সমস্যা হলেও সেই কাজটা করতে হয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরকে।
এই নিয়ে এক ভক্ত ব্যাপক প্রশংসা করলেন এবং এই বিষয়টা নিজের লেখনীতে তুলে ধরলেন যে এই গরমে যেভাবে নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখাচ্ছে সৌমী সেটা শিক্ষনীয় এবং প্রশংসার যোগ্য। তিনি লিখলেন যে দুইদিন হলো গরম কিছুটা কমেছে। কিন্তু এই গরমের মধ্যেও দুটো চরিত্রকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে সৌমীতৃষা।বারবার,পোশাক পাল্টিয়ে মিঠি-মিঠাই থেকে শুরু করে ভারী মেকআপ ধরা রাখাকে কুর্নিশ জানান তিনি। তাঁর দাবি, “অনেকেই বলবেন যে এর জন্য তো পারিশ্রমিক পায়,আমি বলবো পারিশ্রমিক তো সবাই পায়! বাট, এমন ডেডিকেশন নিয়ে ক’জন কাজটা প্রপারলি করতে পারে বলুন?”