বাঙালি দর্শকদের হৃদয়জুড়ে চিরকালের জন্য বিশেষ জায়গা থাকে বাংলা সিরিয়ালের জন্য। বছর বছর বিভিন্ন চ্যানেলে একের পর এক নতুন সিরিয়াল আসে এবং তাদের মধ্যে কিছু কিছু সিরিয়াল আর তার নায়ক নায়িকারা বিশেষ ছাপ রেখে যায় দর্শকদের মনে।
এই মুহূর্তে তেমন ভাবেই শুধু ভারত নয় বরং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলেছে জি বাংলার সিরিয়াল মিঠাই। সিরিয়ালের প্রতিটি চরিত্র এবং সেই চরিত্রগুলোতে অভিনয় করা প্রতিটি অভিনেতা অভিনেত্রীকে মনে প্রাণে ভালোবেসে ফেলেছে দর্শকরা। তার পাশাপাশি পুরনো চলতে থাকা চরিত্র গুলির সঙ্গে নতুন চরিত্রগুলিকে গ্রহণ করেছে ভালোবাসা দিয়ে।
এমনই এক নতুন এবং ছোট্ট সদস্য হল শাক্য। মিঠাই এবং তার উচ্ছে বাবুর আদরের পুত্র সন্তান হলো শাক্য মোদক। সে একেবারে তার পাপার মতো আর তার মায়ের চোখের মণি। কিন্তু এই ছেলেটার ছোট্ট থেকেই একটাই কষ্ট সে তার মায়ের ভালোবাসা কি সেটা বুঝে ওঠার আগেই মা তার থেকে সরে গেছে অনেক দূরে। অবশ্যই সেটা পরিস্থিতির কারণে।
এই বয়সে এই চরিত্রে যে শিশু অভিনেতা অভিনয় করছে তার নাম ধৃতিস্মান চক্রবর্তী। ছেলেটি শুধু অভিনয়ের দিক দিয়ে নয় পাশাপাশি রয়েছে তার বিশেষ এক প্রতিভা তার দর্শকদেরকে খুব তাড়াতাড়ি আকৃষ্ট করে ফেলেছে নিজের প্রতি। আর এই প্রতিভা হল অসাধারণ গানের গলা। এই বয়সে যেভাবে সে একের পর এক গান গেয়ে যায় সাবলীল ভাবে সেটা সত্যি মুগ্ধ করার মত।
সিরিয়ালে তার বাবার চরিত্রে যে অভিনেতা অভিনয় করছে সেই আদৃত রায়ের জন্য যে ভক্তসংখ্যা তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই শুধু তাকে তার অভিনয়ের জন্য নয় বরং ভালোবাসা তার গানের প্রতিভার জন্য। তাই অনস্ক্রিন বাবা-ছেলে জুটির মধ্যে এই একটা স্বভাবের মিল রয়েছে বলা যায়। তাই এই বিষয়টা খুব ভালোবাসে দর্শকরা।
তবে শুধুমাত্র পর্দায় নয় তার বাইরেও নিজের ভক্তদের জন্য মাঝে মাঝে গান উপহার দেয় তাদের আদরের শাক্য। তা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে গানের ছড়াছড়ি। এবার ভাইরাল হল তার কন্ঠে গাওয়া সোনু নিগমের একটি গান। ৯০ এর দশকের যুবসমাজের অত্যন্ত প্রিয় একটি গান এটি। নাম “ইয়ে দিল দিওয়ানা”। গানটা শুনে মুগ্ধ হলেও গাওয়াটা অতটা সোজা নয়। কিন্তু নিজের অসাধারণ গানের গলায় জাদুতে সেটাকে সাবলীলভাবে গেয়ে আর ভাব দিয়ে শুনিয়েছে ধৃতিস্মান। এত বড় মাপের এক শিল্পীর গান গাওয়ার প্রচেষ্টা সত্যি প্রশংসনীয়। আর সেখানে তাকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারা যায় কি?