বাংলা টেলিভিশনে এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে বাংলা ধারাবাহিকগুলি। একের পর এক ধারাবাহিক বাঙালির ড্রয়িং রুমে রাজ করে সন্ধ্যের পর থেকে। তবে ধারাবাহিকের গল্পগুলি কতটা আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে মিল রয়েছে তা নিয়েই একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আজ বলা হবে। প্রসঙ্গত বাংলা টেলিভিশনে যে কয়টি ধারাবাহিক রয়েছে তার বেশিরভাগই যৌথ পরিবার বা সাংসারিক জটিলতা নিয়েই তৈরি হয়েছে। মানুষের জীবনে যেসব পারিবারিক সমস্যাগুলি উঠে আসে সেসব নিয়েই এক একটি ধারাবাহিকের গল্প বোনেন লেখক লেখিকারা।
বর্তমানে আমরা দেখতে পাই বাংলা ধারাবাহিকের যেসব নায়িকারা রয়েছে তারা প্রত্যেকেই বিয়ে হয়ে আসার পরে নিজের বাপের বাড়ির সঙ্গে প্রায় সম্পর্ক তুলেই দেন।। অর্থাৎ নায়িকাদের বাপের বাড়ির জটিলতা নিয়ে আর সেভাবে চিন্তা করতে দেখা যায় না। শ্বশুরবাড়ির, স্বামীর একাধিক সমস্যা নিয়েই জর্জরিত থাকেন ওই নায়িকারা। কিন্তু উল্টো দিকে ধারাবাহিকের নায়কের পিসিরা থাকেন নায়ক নায়িকার সংসার এই। পিসি তার স্বামী ছেলেমেয়ে নিয়ে তার বাপের বাড়িতেই থেকে যান।
আর এই নিয়েই উঠেছে দর্শকদের প্রশ্ন। তাদের মতে যখন নায়িকাদের বিয়ে হয়ে যায় এবং তারা শ্বশুরবাড়িতেই সংসার ধর্ম করেন। এছাড়া অনেক ধারাবাহীকে দেখানো হয় বাপের বাড়ির কথা বললে তাকে অনেক ভাবেই কটুক্তির স্বীকার হতে হচ্ছে। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলা টেলিভিশনের নায়কদের পিসিরা কেন বাপের বাড়িতেই থাকবেন? তাদেরও নিজস্ব সংসার রয়েছে শ্বশুর বাড়ি রয়েছে তারা কেন সেখানে যান না!
প্রসঙ্গত এমন বেশ কিছু ধারাবাহিক রয়েছে যা এমন প্লট নিয়ে গঠিত। জি বাংলায় রয়েছে ‘উড়ন তুবড়ি’ ‘খেলনা বাড়ি’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘মিঠাই’,’গৌরী এলো’, ‘পিলু’ প্রভৃতি। এবং স্টার জলসায় রয়েছে ‘গাঁটছড়া’, ‘মাধবীলতা’ প্রভৃতি। এই নিয়ে দর্শকদের মত যেন এই ধারণাটা পরবর্তী ধারাবাহিক গুলিতে পরিবর্তন করা হয়। এবং পিসিদের চরিত্রটিকে তার সংসারে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়।