বাংলা সিরিয়াল মানে এখানে নায়িকারা সব বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি চলে যাবে। নিজেদের সব স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে দেবে। শ্বশুরবাড়ির মন যোগাবে আর সেখানে প্রথমদিকে অত্যাচারিত হয়ে পরে মুখ খুলে বিশাল প্রতিবাদী হয়ে যাবে। বাংলা ধারাবাহিক নির্মাতারা মহিলাদের উন্নয়ন বলতে এটুকুই বোঝেন। ছক ভাঙতে তারা ভয় পান। হয়তো ভাবেন যে ভালো টিআরপি পাবেন না।
তবে এবারের সান বাংলা এতদিনের ছক ভেঙ্গে দিল। সাধারণত এই চ্যানেলটা খুব কম মানুষ দেখেন কিন্তু যারা দেখেন তারা জানেন যে জলসা বা জি বাংলা থেকে অনেক ভালো ভালো সিরিয়াল এই চ্যানেলে হয়। সান বাংলার সাথী আর কন্যাদান সিরিয়াল টা ভালই জনপ্রিয়। ১০-১২ দিন হলে শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক আলোর ঠিকানা যেখানে আবার ছোট পর্দায় কামব্যাক করেছেন দেবাদ্রিতা বসু। নায়কের ভূমিকায় রয়েছেন জন ভট্টাচার্য।
তবে এই প্রমো দেখেই মানুষ চমকে গেছেন। আমরা এতদিন ধরে জেনে এসেছি যে বাঙালি পরিবারে ব্যবসা সামলায় বাড়ির ছেলেরা আর বৌ’রা ঘরকন্না করে। কিন্তু আলোর ঠিকানাতে দেখা গেল একদম অন্যরকম। এখানে শুরুটাই হচ্ছে বিয়ে দিয়ে। বিয়ের পর দেবাদ্রিতা জনের বাড়ি আসলে দেখতে পাবেন যে বাড়ির ছেলেরা বধূবরণ করছে। তাকে ওই পরিবারের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য বলবেন যে এখানে বাড়ির বৌয়েরা ব্যবসার কাজ সামলায় ছেলের া ঘরের কাজ।। সেই শুনে অবাক হয়ে যাবে দেবাদ্রিতা কিন্তু গল্পে রয়েছে বড়সড় ধামাকাদার টুইস্ট।
স্বাভাবিকভাবে এইরকম গল্প দেখে বেশ খুশি হয়েছেন মহিলা ভক্তরা কারণ মহিলারাও যে ব্যবসা সামলাতে পারেন। এটা যেন কেউ ভাবতেই পারেন না। এখন ভারতের অধিকাংশ কোম্পানির মালিক কিংবা সিইও হলেন মহিলা।গোটা পৃথিবী যদি আজ মহিলাদের বিদ্যা বুদ্ধিকে কাজে লাগাতো তাহলে প্রত্যেকটা দেশ অনেকটা করে এগিয়ে যেত। সান বাংলার আলোর ঠিকানা অন্তত ছক ভাঙ্গতে পেরেছে, জলসা বা জি পারবে কি?