গল্পটা শুরু হয়েছিল অনেক পজিটিভিটি দিয়ে কারণ একদম নতুন ধরনের গল্প দেখে চমকে গেছিল মানুষ। জংলা হাটার জঙ্গলকে মা বলে মনে করেন মাধবী বারংবার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে গোটা জঙ্গলকে। তার প্রধান শত্রু হলে পুষ্পরঞ্জন যে এই গাছ কাটা চোরাচালান করে। ঘটনাচক্রে পুষ্পরঞ্জনের ছেলে সবুজ একজন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার এবং সে নিজেদের এলাকায় জঙ্গলের ফটো তুলতে গিয়ে মাধবীর দেখা পায় আর তার প্রেমে পড়ে যায়। এরপরে অনেক দূর কাহিনী গড়িয়েছে এবং মাধবী সবুজকে বিয়ে করে চলে এসেছে তাদের বাড়িতে আর এসেই দেখে পুষ্পরঞ্জন তার শ্বশুর।
এই নিয়ে তো তার অনেক ঝামেলা হয় তারপরে বুঝিয়ে বাঝিয়ে সবুজ আবার নিয়ে আসে তাকে। কিন্তু সম্প্রতি সামনে এসেছে নতুন প্রোমো যেটা দেখে লোকে বলছেন যে এই ধারাবাহিকটা পুরোপুরি বরণের কপি। বন বিভাগের বড় সাহেব মাধবীকে ডেকেছে পুষ্পরঞ্জনের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার জন্য। এরপরে লোকে যা আশা করেছিল ঠিক সেটাই হয়েছে।
যেটা করছে সেটা বাড়ির সকলে জানে অন্যায় অথচ মাধবীর হাত-পা ধরে ঝুলে ঝুলি পড়তে শুরু করে দিয়েছে যাতে মাধবী গিয়ে পুষ্প রঞ্জনের বিরুদ্ধে সাক্ষী না দেয়। সবুজের মা প্রথমে অনুরোধ করে বান্ধবীকে তারপরে অবাকভাবে সবুজ বলে ওঠে তুমি বলেছিলে বাবাকে তুমি শুধরে দেবে তাই তুমি সাক্ষী দেবে না তো মাধবী? মাধবী তো পড়ে গেছে উভয় সংকটে।
তবে আমরা জানি কী হবে। মাধবী সাক্ষী দেবে না, কারণ হাজার হোক এটা বাংলা সিরিয়াল আর শ্বশুর বাড়ি হল আসল এখানে মেয়েদের জীবনে সে সেটা যতই জেলখানা আর নরক হোক না কেন। মনে হচ্ছে সকলে বরণ দেখছেন, নায়ক একই আছে শুধু নায়িকা পাল্টে গেছে।