জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রীতে (Jagaddhatri) এসেছে নতুন চমক। ইতিমধ্যেই এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে জ্যাস সান্যাল চলে গেছে কল্যাণী সরকারকে জেরা করতে। জ্যাস তাকে জিজ্ঞাসা করে তিনি কি জানতেন না যে ওটা প্রমিতা নয়? কি লুকাতে চাইছেন তিনি। কিন্তু জগদ্ধাত্রীর প্রশ্নের কোন যথাযথ উত্তর দিয়ে উঠতে পারছেন না কল্যাণী। জ্যাস তখন বলে “আপনি সব জানেন। আপনি জানেন যে বেডে যিনি শুয়ে আছেন তিনি প্রতিমা বসু নয়, প্রতিমা বসু তাহলে কে?”
তখন কল্যাণী সরকার বলে তিনি যা যা জানেন সবটাই বলে দিয়েছেন। কিন্তু তখনই জ্যাস বলে তিনি মিথ্যে কথা বলছেন। প্রমিতা বসুকে তার ভাই দেখেছে। এটা শুনেই চমকে যায় কল্যাণী সরকার। তিনি আর কিছুই বলে উঠতে পারেননা। জ্যাস তখন তাকে হুমকি দিয়ে বলে এইভাবে যদি তিনি মিথ্যে বলতে থাকেন তাহলে তাকে ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হবে। তার বয়সের খেয়াল বা তার মানসম্মানের খেয়াল করা হবে না। এই বলেই ওখানে থেকে বেরিয়ে আসে জ্যাস।
তখনই বনলতা বলে এবার সময় এসে গেছে শেষ হবে গল্প। তখনই কল্যাণী জিজ্ঞাসা করেন বনলতা কি করতে চলেছে। কল্যাণীর প্রশ্নের উত্তরে বনলতা বলে প্রমিতার কথা পরে ভাবা যাবে কিন্তু তার আগে এবার জ্যাস সান্যালকে শেষ হতে হবে নাহলে আমাদের সব খেলা শেষ হয়ে যাবে। এটা শুনেই খানিকটা ঘাবড়ে যায় কল্যাণী। ওদিকে মুখার্জী বাড়িতে চলতে থাকে বিয়ের তোড়জোড়। গরিমার বাবা বলেন মেয়েদের জীবনটাই এরকম বিয়ের দিনই যা আনন্দ। তারপরই তো মেয়ে চলে যাবে।
তখনই জগদ্ধাত্রীও চলে আসে সেখানে। সকলের সঙ্গেই মজা আড্ডা করতে থাকে জগদ্ধাত্রী। এরপর জগদ্ধাত্রী ছেলের বাড়িতে ফোন করে হলুদ পাঠানোর জন্য। তখন গুঞ্জন ফোনটা বনলতাকে দিয়ে বলে জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে আর মুখার্জী বাড়ি গিয়ে হলুদ দিয়ে আসতে। এটা শুনে বনলতা ভাবতে থাকে জগদ্ধাত্রী তো তার গলার আওয়াজ জানে। যদি এবার সে বুঝে যায়। তখন জগদ্ধাত্রী তাকে জিজ্ঞাসা করে তিনি কখন আসবেন। বনলতা খানিকটা ইতস্তত হয়ে বলেন তার হাতের কাজ সেরে তিনি যাচ্ছেন।
আরো পড়ুন: হচ্ছেটা কী? বি’কৃ’ত মানসিকতার পলাশের হাত থেকে শিমুলকে বাঁচাতে উঠে দাঁড়ালো পরাগ! আগাম পর্বে রয়েছে দারুণ চমক
কিন্তু বনলতার গলার আওয়াজ শুনে জগদ্ধাত্রীর খানিকটা খটকা লাগে। তার বারবার মনে হতে থাকে সে গলার আওয়াজটা আগেও শুনেছে। এদিকে ব’ন্দু’কে’র সঙ্গে হলুদের বাটি নিয়ে মুখার্জী বাড়িতে চলে আসে বনলতা। জগদ্ধাত্রীকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিনি ব’ন্দু’ক তাক করেন জগদ্ধাত্রীর দিকে। কিন্তু সেই সময়ই তাকে দেখে নেয় কাঁকন। কাঁকন ঈশারা করে জগদ্ধাত্রীকে ডাকে তার কাছে। জগদ্ধাত্রী তার কাছে যাওয়ার পর কাঁকন জগদ্ধাত্রীকে হলুদের বাড়ির দিকে নির্দেশ করে বোঝায় যে সে হলুদের বাটির ওখানে ব’ন্দু’ক দেখেছে। কিন্তু ততক্ষণে ব’ন্দু’ক নিয়ে চলে যায় বনলতা। জগদ্ধাত্রীও বুঝতে পারে একটা বড় ষড়যন্ত্র চলেছে। তাহলে কি জগদ্ধাত্রী ধরতে পারবে বনলতাকে?