জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Kar Kachhe Koi Moner Kotha: শিমুলকে বি’ষ দিয়েছে পরাগ-পলাশ! থানায় নালিশ ঠুকলো বিপাশা-সুচরিতারা! কী শাস্তি অপেক্ষা করছে?

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় যে ধারাবাহিকগুলি বাঙালি দর্শকদের নজরে অত্যন্ত ভালো পারফর্ম করছে তার মধ্যে অন্যতম হল অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় শুরু হওয়া ধারাবাহিক কার কাছে ক‌ই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) । শুরু হ‌ওয়ার পরের প্রাথমিক সমস্ত ধাক্কাকে কাটিয়ে এখন দুর্নিবার গতিতে ছুটে চলেছে এই ধারাবাহিকটি।

এই ‌ধারাবাহিকের গতি এখন এতটাই তীব্র যে চলতি সপ্তাহে একেবারে টিআরপি তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে ফেলেছে। বলাই বাহুল্য ধারাবাহিকের গল্প দর্শকদের ভালো লেগেছে বলেই এই জনপ্রিয়তা। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কিন্তু সত্যিকার অর্থেই এই ধারাবাহিকের গল্প ভীষণ ভীষণ রকমের আকর্ষণীয়।

আগামী কিছুদিন একটি রহস্যের উদঘাটন এবং শাস্তি পর্ব দেখানো হবে এই ধারাবাহিকে। বিয়ের পর থেকে কিছুতেই শিমুলের সঙ্গে বনিবনা হয়না তার স্বামী পরাগের। আসলে শিমুলের মন বোঝার কোন চেষ্টাই করে না সে। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থসিদ্ধি, নিজের যৌ’ন চাহিদা পরিপূর্ণ করাতেই সে মত্ত সে।

পরাগ এবং পলাশ মনে করে মেয়েদের কোন‌ও আলাদা পরিচয় থাকতে নেই কোন আলাদা সত্ত্বা থাকতে নেই। তারা আনন্দ উপভোগ করবে না। তারা শুধুমাত্র নিজেদের যাবতীয় শ্রম টুকু সংসারের পেছনেই খরচ করবে। আর শিমুল তার ব্যতিক্রম হতেই তাদের চক্ষুশূল হয়েছে।

শিমুলের প্রাণ নিতে উদ্যত হয়েছে পলাশ এবং পরাগ। পলাশের উস্কানিতে শিমুলের সিদ্ধির গ্লাসে বি’ষ মেশানো হয়‌। এরপর সেই বি’ষ মেশানো সিদ্ধির গ্লাস শিমুলের হাতে তুলে দেয় প্রতীক্ষা। আর সেই সিদ্ধি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় শিমুল। কোনভাবেই ফেরে না তার জ্ঞান। এই পরিস্থিতিতে শিমুলকে নিয়ে হাসপাতালে যায় সবাই। নার্স জানান শিমুলের খাবারে কেউ বি’ষ মিশিয়ে ছিল। আর সেই নিয়েই চলছে জলঘোলা।

শিমুল অসুস্থ হতেই পরাগ-পলাশের অদ্ভুত রকম চারিত্রিক পরিবর্তন দেখে কার্যত চমকে উঠেছে শিমুলের পাড়ার বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে তার শাশুড়ি মা পর্যন্ত। পরাগের তো দুচোখ ভরে জল চলে এসেছে।‌ এমনকি তারা নাকি সন্দেহ করছে শিমুলের শরবতে কেউ কিছু মিশিয়ে দিয়েছিল সেটাও বেফাঁসে বলে ফেলেছে পলাশ। বিপাশা-সুচরিতাদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টায় ছিল পরাগ এবং পলাশ।

যদিও এই ঘটনার সমুচিত তদন্ত চায় শিমুলের পাড়ার বন্ধুরা। আর সেই জন্য তারা পুলিশ স্টেশনে যায়। এবং সেখানে গিয়ে তারা বলে তাদের এবং অনেকের সন্দেহ শিমুলের শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই এই কান্ডের সঙ্গে জড়িত। এরপর বিপাশা বলে, শিমুলের শাশুড়ি এবং ননদ সন্দেহের ঊর্ধ্বে। তার স্বামী এবং দেওরকে আমরা সন্দেহ করছি। বিপাশাদের সঙ্গেই সেখানে উপস্থিত ছিল পরাগ এবং পলাশ। নিজেদের নামে অভিযোগ দেখে চমকে ওঠে তারা। কিছুটা ভয়‌ও পেয়ে যায়। কবে মিলবে শাস্তি পরাগ-পলাশের?

Titli Bhattacharya