দেখতে দেখতে দু-বছর পূর্ণ হয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’-এর। বর্তমানে ধারাবাহিকগুলো খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। তাই বলা যায় বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে পুরোনো ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। মিঠাইয়ের এই সাফল্য প্রশংসার দাবি রাখে। ধারাবাহিকে প্রথম থেকেই দর্শকদের মন কেড়েছিল ‘উচ্ছেবাবু ও মিঠাই এর দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্ক’।
উচ্ছেবাবু অর্থাৎ ‘আদৃত রায়’ ও মিঠাই হলেন ‘সৌমিতৃষা কুন্ডু’। তাঁদের দুজনের টক, মিষ্টি, ঝাল রসায়নে মজে উঠেছিল অনুরাগেরা। আমরা জানি, গত বছরের শেষে মিঠাই-এর মৃত্যু হয়েছে আর তারপর সিরিয়ালে মিঠাই মতো হুবহু দেখতে মিঠির আগমন হয়েছে। এরমধ্যেই বড় হয়ে গিয়েছে মিঠাই-উচ্ছেবাবুর সন্তান।
মিঠির আগমন দর্শকদের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে ‘মিঠি’ই কি ‘মিঠাই’? সম্প্রতি মিঠাই ধারাবাহিকে চলছে টানটান কিছু পর্ব। শাক্য এবং মিঠিকে কিডন্যাপ করেছে আদিত্য আগরওয়াল। এই পরিস্থিতিতে শাক্যকে নিয়ে বেজায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে মিঠি। এরই মধ্যে আদিত্যর ভাড়া করা মহিলা মিঠিকে খাবার দিতে এসে বলেন, ‘তোমার মধ্যে বাচ্চাটার জন্য যে টান দেখতে পাচ্ছি তাতে তোমাকেই ওর মা বলে মনে হচ্ছে।’
যদিও উক্ত বিষয়টা আমাদের কাছেও মোটেও অস্বীকার করার মত নয়। প্রথম থেকেই শাক্যর প্রতি একটা আলাদাই টান অনুভব করতে দেখা গিয়েছে মিঠিকে। কিডন্যাপারদের কাছ থেকে বহুবার পালানোর চেষ্টা করলেও সফল হয়নি মিঠি এবং শাক্য। এরমধ্যে আদিত্য আগারওয়াল এসে মিঠির মাথায় বন্দুক ধরে ও জিজ্ঞাসা করে যে সেই মিঠাই নাকি! “বলো তোমার আসল পরিচয় কী?” মিঠাই অবাক হয়ে যায় ও তার মনে প্রশ্ন জাগে তারা কেন এটা বারবার জানতে চাইছে তার থেকে? সেই কৌতূহলের বশেই সে বলে ‘আমি মিঠাই’।
তারপর নতুন প্রোমোতে দেখা যায়, সিদ্ধার্থ সেখানে হঠাৎ আসে ও কিডন্যাপারদের সঙ্গে মারপিঠ করে ও মিঠিকে বলে শাক্যকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে। কিন্তু মিঠি তা পারে না, সে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পরে। আর তারপরই দেখা যায় সিদ্ধার্থ, মিঠি ও শাক্য তিনজনেই হাসপাতালে। মিঠি বেডে শুয়ে, তার গুলি লেগেছে।
এখন এটাই দেখার মিঠি কি সুস্থ হয়ে উঠবে? নাকি মিঠির মৃত্যুই ধারাবাহিকের ইতি টানবে? দর্শকরা এখন গভীর অপেক্ষায়। অনেকেই ভাবছেন, ‘মিঠি বলল যে সেই ‘মিঠাই? আদতে মিঠাই কি মারা যায়নি? এদিকে মিঠাই মারা গেলেও তার ডেডবডি কেউ খুঁজে পায়নি। যদিও সব প্রশ্নের উত্তর ধীরে ধীরে পাওয়া যাবে কারণ খুব শীঘ্রই সমস্ত রহস্যের কিনারা হতে চলেছে।