জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘যাঁর সমস্যা সে যাবে, জিতু কেন বিনা দোষে শাস্তি পাবে!’ ‘আর্য ঠিকই আছে, অপর্ণার চরিত্রে ‘গোধূলি আলাপ’-এর সোমুকে আনা হোক! কৌশিক সেনের সঙ্গে তাঁর কোনও দৃশ্যেই আপত্তি ছিল না, বরং ছিল সম্মান!’– ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ থেকে দিতিপ্রিয়াকে বাদ দেওয়ার দাবি দর্শকদের!

বাংলা টেলিভিশনে সাধারণত সমবয়সী নায়ক-নায়িকার প্রেম নিয়েই গল্প চলে, কিন্তু কয়েকটি ব্যতিক্রমী অসমবয়সী সম্পর্কের গল্পও দর্শকদের বিশেষ পছন্দের। এমনই দুটি ধারাবাহিক হচ্ছে স্টার জলসার ‘গোধূলি আলাপ’ এবং জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। গোধূলি আলাপের মূল গল্পে, এক গ্রাম্য মেয়ে নোলক এবং আইনজীবী অরিন্দমের অসমবয়সী সম্পর্ক দেখানো হয়েছিল। অভিজ্ঞ অভিনেতা কৌশিক সেন এবং নবাগত সোমু সরকারের জুটি প্রথমে না হলেও, একটা সময় সবার মন জিতে নিয়েছিল।

অপরদিকে, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকও এক অসাধারণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রেমের কাহিনি তুলে ধরেছে। যেখানে দুই মূল চরিত্র হলেন ‘জিতু কমল’ (Jeetu Kamal) এবং দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy), পর্দায় তাঁদের উপস্থিত শুরুর দিন থেকেই জনপ্রিয় হলেও, পর্দার বাইরে সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্পটি বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। শুটিং সেটে জিতু এবং দিতিপ্রিয়ার মধ্যে সম্পর্কের অবনতির কারণে খুব দ্রুত পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠেছে, বলেই খবর।

বহু বিতর্কের পরে, সম্প্রতি জিতু একটি দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন যে, তিনি আর এই টানাপোড়েনে থাকতে পারবেন না। তাঁর উপর দিতিপ্রিয়া রায়ের করা অভিযোগ এবং প্রোডাকশনের ভূমিকা তাঁকে অনেক বড় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। এই সমস্ত বিতর্কের মধ্যে, দর্শকদের কাছে এক বড় প্রশ্ন, তবে জিতু সত্যিই আর্য সিংহ রায় থাকবেন না? ধারাবাহিকের সফলতা নির্ভর করছে অনেকাংশে তার উপর, তবে বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই গম্ভীর হয়ে উঠেছে যে অভ্যন্তরীণ চাপের কারণে জিতু আর থাকবেন না।

একদিকে দর্শকরা ক্ষুব্ধ হয়ে সামাজিক মাধ্যমেও বলছেন যে, দিনের পর দিন জিতুকে মান’সিক নি’র্যাতন করা হয়েছে এবং এমন পরিস্থিতিতে তার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, কিছু দর্শক প্রোডাকশন হাউজকে পরামর্শ দিচ্ছেন যে, যদি সরাতেই হয় তো দিতিপ্রিয়াকে সরানো হোক! জিতু ছেড়ে দিলে ধারাবাহিক বয়কট করা হবে! সমাজ মাধ্যমে একজন বলেছেন, “দিতিপ্রিয়াকে সরিয়ে অপর্ণার চরিত্রে সোমু সরকারকে আনুন। ‘গোধূলি আলাপ’ ধারাবাহিকে দারুন অভিনয় করেছিল নায়িকা।

আর তাছাড়াও কৌশিক সেনের মতো বয়সে বড় একজন অভিনেতার সঙ্গে রোম্যান্স করেছেন কোনও সমস্যা হয়নি। বরং পর্দার বাইরেও মেয়েটা যথেষ্ট সম্মান করত সহ অভিনেতাকে, একে অপর্ণা হিসাবে দারুন মানাবে!” দর্শকদের চাইছেন যে, প্রোডাকশন হাউজ একে অপরের সম্মান দিয়ে কাজ করুক এবং যদি জিতু চরিত্র ছাড়েন, তাহলে দিতিপ্রিয়াকেও সরিয়ে তার জায়গায় সোমু সরকারকে অপর্ণার চরিত্রে আনুক। তবে এই সমস্ত আলোচনার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, একজন অভিনেতার স্বস্তি এবং মানসিক শান্তি। যখন কোনও শুটিং সেটে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেটা পুরো ধারাবাহিকের জন্যও ক্ষতিকর!

Piya Chanda