Bangla Serial

Chumki Chowdhury: ৩০ টা আসল বিষধর সাপ আনিয়ে হয়েছিল শুটিং! বাংলা সিনেমায় এসবও হয়? পরে এই ঘটনার জন্য রীতিমত অনুতপ্ত ছিলেন বাবা অঞ্জন চৌধুরী, জানালেন নায়িকা চুমকি

একটা সময় বাংলা সিনেমার আধুনিক যুগ ছিল। অনেকেই মনে করেন মহানায়ক উত্তম কুমারের পরবর্তী সময় বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক মনোযোগ শুরু হয়েছিল তা ছিল অবক্ষয়ের। সে সময় মূলত দুই ধরনের সিনেমা তৈরি হতো কমার্শিয়াল এবং আর্ট। আর সে সময় কয়েক দশক ধরে কমার্শিয়াল সিনেমায় একচেটি আধিপত্য কায়েম করেছিলেন পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। তার হাত ধরেই উঠে এসেছিল একাধিক নতুন অভিনেতা অভিনেত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাঁর কন্যা চুমকি চৌধুরী ও। জি বাংলার জনপ্রিয় গেম শো ‘দিদি নং ওয়ান’এর অষ্টম সিজনে এসে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।

‘দিদি নং ওয়ান’-এর সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)-ও নস্টালজিক হয়ে বললেন, “সেই সময় সুবর্ণ জয়ন্তী, রজত জয়ন্তীর বোর্ড ঝুলত সিনেমা হলের বাইরে। কিন্তু বর্তমানে তা দেখা যায় না।” চুমকিকে তিনি বললেন, এই কথা শুনে নিশ্চয়ই তাঁর চোখের সামনে বহু স্মৃতি ভেসে উঠছে। চুমকিও তা স্বীকার করলেন। বড় শিল্পীদের সাথে যখন তিনি কাজ করতেন, তখন তাঁর বয়স যথেষ্ট কম ছিল।

সেই সময় চুমকি তাঁদের স্টারডম বুঝতে পারতেন না যা বর্তমানে পারেন। চুমকির মনে হয়, অনেক কিছুই তাঁদের থেকে শেখার ছিল যা হয়নি। রচনা বললেন, এখনও অঞ্জন চৌধুরীর ফিল্ম টেলিভিশনে দেখানো হলে রিমোট দিয়ে চ্যানেল ঘোরাতে ইচ্ছা করে না। চুমকি জানালেন, তিনি অনেক কাজ করেছেন অভিনেত্রী অনামিকা সাহার সাথেও।

অনামিকা জানালেন, অঞ্জনবাবু তাঁকে ডেকে বলেছিলেন, সেজ বৌয়ের চরিত্রে তাঁকে দাপটের সাথে অভিনয় করতে হবে। চুমকি বললেন, ‘নাচ নাগিনী নাচ’ ফিল্মে অভিনয় করতে গিয়ে যথেষ্ট মজা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে অনামিকা বললেন, ত্রিশ খানা জ্যান্ত সাপ আনা হয়েছিল সেটে। সেগুলি ছিল বিষধর।

দোতলার উপর সেটে তারা দাঁড়িয়ে আছে। ক্রেনের উপর রয়েছেন ক্যামেরাম্যান। অনামিকাকে ফণা তুলে ঘিরে রেখেছে সাতখানা সাপ। হাতে ঝাঁটা নিয়ে অনামিকা তাদের সামনে ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত’ নাচছিলেন। সেই সময় একটি সাপ তাঁকে ছোবল মারে। ফেটে যায় অনামিকার শাড়ি। ভিতরে গ্লাভস পরার কারণে বিষধর সাপের কামড়ে ক্ষতি হয়নি অনামিকার। সেই শাড়ি এখনও রেখে দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় অঞ্জনবাবু অনুতপ্ত হয়েছিলেন।

Nira