সন্তানদের মায়া কাটিয়ে বহুদূর চলে গিয়েছে সূর্য। বিহার,ঝাড়খণ্ড বা ছত্তিশগড়ের কোনো একটি প্রত্যন্ত গ্রামে গরীব দুঃখীদের চিকিৎসা করছে সে। এই মুহূর্তে, তার কোনো স্থায়ী ঠিকানা নেই। পরিবারের নজর এড়াতে এ গ্রাম, সে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারণ ভালোবাসা, মায়া, মমতা সব কিছুর থেকে বেশ কয়েক যোজন দূরে থাকতে চায় সূর্য। আপাতত সূর্যের অজ্ঞাতবাস ও একা দীপার দুই মেয়েকে মানুষ করে জীবনযুদ্ধের গল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chowwa) প্লট।
মানুষ ভালোবেসে আপন করতে চাইলেই পালিয়ে যেতে চায় সে। তবে সাম্প্রতিক পর্বে আমরা দেখেছি, মন যতই দূরে সরে থাকতে চায়, নিজেকে আটকাতে পারেনা সূর্য। কারণ মান আর হুঁশ নিয়েই তো মানুষ। এই রাতে হাইওয়েতে একা মেয়েকে বিপদের মুখে ফেলেও পালিয়ে আসতে পারেনি সে।
গ্রামে ট্রেনি ডাক্তার হিসেবে এসেছে ইরা। খুব কথা বলতে ভালোবাসে সে। প্রাণোচ্ছ্বল একটি হাসিখুশি মেয়ে। আবার ভ্লগও করে। বাস মিস হওয়ার সূর্যের থেকে লিফট চায় সে। প্রথমে সূর্য এড়িয়ে গেলেও, কতকগুলি মদ্যপ ব্যক্তি ইরাকে জোর করে গাড়িতে তুলছে দেখে এগিয়ে আসে সূর্য। ছেলেগুলির সঙ্গে রীতিমতো মারপিট করে ইরাকে গ্রামে নিয়ে আসে সে।
এদিকে, ইরার সঙ্গে গ্রামে আসতেই জল্পনা বাড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। সকলে ভাবে ইরাই সূর্যের স্ত্রী। এক রোগী ডাক্তারবাবুকে সরাসরি জিজ্ঞেস করে বসে। তখনই চটে ওঠে সূর্য। বলে,”আপনারা কী শুরু করেছেনটা কি! যাকে তাকে আমার বউ বানিয়ে দিচ্ছেন! আমার কোনো স্ত্রী নেই! আমার কেউ নেই।”
আরো পড়ুন: “বৌদিভাই লড়াই করতে শিখিয়ে গেছে, আমি লড়াই করবো” পরিবারের বিপক্ষে গিয়ে শিমুলের জন্য লড়াই ননদ তুতুলের
তবে সূর্যের মুখে এই কথা শুনে মনে লাড্ডু ফোটে ইরার। মানে সুদর্শন ড. সূর্য আসলে ব্যাচেলর। মনে বিড়বিড় করছে এমন সময় ছোট্ট একটি মেয়ে জানতে চায় সে কে? ইরা বলে সে একজন ডাক্তার। এখানে ইন্টার্নশিপ করতে এসেছে। যা শুনে সূর্য বলে তারা যেন ইরাকে সোজা বাসে তুলে দিয়ে আসে। সে কোনো ট্রেনিকে চায় না। বিশেষত মহিলা ইন্টার্নতো আরও নয়। কী হবে ইরার? এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে কি খালি হাতেই ফিরে আসতে হবে তাকে? নাকি ইরার ভ্লগেই দীপা খোঁজ পাবে সূর্যের?