চলতি বছরের মার্চ মাসে পথচলা শুরু করলেও, খুব অল্প সময়েই দর্শকের মনে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে জি-বাংলার (Zee Bangla) নতুন ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) । নায়ক আর্য ও নায়িকা অপর্ণার সম্পর্ক, বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও ভালোবাসার পরিণত রসায়ন, সব মিলিয়ে দর্শকদের এক অন্যরকম অনুভবের জগতে টেনে নিয়ে গেছে এই মেগা। বাংলা টেলিভিশনের চেনা প্রেমের গল্প থেকে সরে এসে এই ধারাবাহিক যেন এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপহার দিচ্ছে বাঙালি দর্শকদের।
যদিও এটি একটি মারাঠি ধারাবাহিকের রিমেক, তবুও ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ বাংলার দর্শকদের কথা মাথায় রেখে, একেবারে ঘরোয়া বাঙালিয়ানায় রূপান্তরিত হয়েছে। চরিত্রের নাম থেকে শুরু করে সংলাপ এবং টাইটেল ট্র্যাক সবই দর্শকের জন্য নতুন করে তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে পরিচিত আবহে ছোঁয়াও আছে। নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় জিতু কমল এবং দিতিপ্রিয়া রায়ের অনবদ্য অভিনয় নজর কাড়ছে প্রথম পর্ব থেকেই।

মিরা ও কিঙ্করের মতো পার্শ্বচরিত্রগুলোও একঘেয়ে ধারাবাহিকতার বাইরে এসে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে গল্পে। তবে ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা যতটা আকাশছোঁয়া, টিআরপি তালিকায় ততটাই চমকপ্রদভাবে অনুপস্থিত এর নাম। দর্শকের উৎসাহ, সমাজ মাধ্যমে লাইক-শেয়ারের ঢেউ, প্রতিটি প্রোমো ভিডিওতে হাজারো প্রশংসা—সবই রয়েছে, কিন্তু এই সপ্তাহের সেরা পাঁচে নেই ধারাবাহিকটি! এই ফলাফল নিয়েই এখন সমাজ মাধ্যম জুড়ে চলছে আলোচনা ও ক্ষোভ।
এতদিন ট্রেন্ডিং তালিকায় নাম থাকলেও, এই সপ্তাহে সেটাও দেখা গেল না। দর্শকদের একাংশের দাবি, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর প্রতি মানুষের উৎসাহ এতটাই প্রবল যে অনেকেই টিভিতে দেখার আগেই জি-ফাইভ কিংবা ইউটিউব, ফেসবুক থেকে অগ্রিম পর্ব দেখে নিচ্ছেন। ফলে টিভিতে সম্প্রচারিত সময়ে দর্শকসংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে টিআরপির হিসেব-নিকেশে। কিন্তু বাস্তবে ধারাবাহিকটি যে কতটা জনপ্রিয় তা দর্শকদের প্রশংসাই বলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ টলিপাড়ার সেটে চাপা উত্তেজনা! পর্দায় বোন, বাস্তবে প্রতিদ্বন্দ্বী! জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দুই অভিনেত্রীর ঠাণ্ডা লড়াই চরমে!
আর্য হিসেবে জিতু মন জিতেছেন হাজারো নারীর, অন্যদিকে দিতিপ্রিয়ার চোখ ধাঁধানো অভিনয়ে তাই সবশেষে বলা যেতেই পারে, টিআরপি না হোক, মানুষের ভালোবাসা ও উন্মাদনা একটি ধারাবাহিকের প্রকৃত প্রাপ্তি। আর সেই নিরিখেই ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ এখনকার সময়ে জি-বাংলার অন্যতম শক্তিশালী গল্পের মধ্যে একটি। দর্শকের হৃদয়ে যেভাবে জায়গা করে নিচ্ছে, তাতে বলা যায়, টিআরপির সীমার বাইরে গিয়েই এই ধারাবাহিক নিজের সাফল্যকে নতুন সংজ্ঞা দিচ্ছে।