জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

জগদ্ধাত্রীতে মারকাটারি পর্ব! উৎসবকে ছাড়াতে গিয়ে ধরা পড়ল দিব্যিয়া আর দেবুদা! কী হবে এবার? আগাম পর্ব ফাঁস

জি বাংলার (Zee Bangla) সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক বর্তমানে জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। ধারাবাহিকে একের পর এক চমকের কারণে ধারাবাহিকটি মানুষের মনে দখল করে করে নিয়েছে শীর্ষস্থান। ইতিমধ্যেই জগদ্ধাত্রী কাছে এসে একটি নতুন কেস। জগদ্ধাত্রী পরিস্কার বুঝতে পারছেন কিছু একটা হয়েছে রাহুলের কিন্তু কি হয়েছে সেই রহস্যের সমাধানই করে উঠতে পারছে না জ্যাস সান্যাল। এদিকে জগদ্ধাত্রীকে ফোন করেছে বিজয়লক্ষ্মী। তিনি জগদ্ধাত্রী ফোন করে জানিয়েছেন যে করে হোক তার ছেলেকে খুঁজে দিতে, জ্যাস যদি তার ছেলেকে খুঁজে দেয় তবেই সেও আরেকজনকে ছেড়ে দেবে।

বিজয়লক্ষ্মী বলেন যদি তার ছেলে বেঁচে থাকে বলে সেও বেঁচে থাকবে নাকি তাঁকেও বাঁচতে দেবে না বিজয়লক্ষ্মী। তিনি এও বলেন তিনি পরিষ্কার বুঝতে পারছেন এই সব কিছুর সঙ্গে ওই মেয়েটি অস্মিতা সরকার জড়িত আছে। তিনি সাত দিনটি দিন সময় দিচ্ছেন জ্যাসকে তার মধ্যে তিনি যেন তার ছেলেকে খুঁজে দেয় নাহলে তিনি অস্মিতাকেও তুলে নেবেন। সেটা শুনে জ্যাস বলে সাতদিনই যথেষ্ট সে সবটা খুঁজে বার করবে তাও সাতদিনের মধ্যে। তখন বিজয়লক্ষ্মী স্মিত কণ্ঠে বলেন জ্যাস বুঝতে পারছেন না তার ওপর দিয়ে কি যাচ্ছে।

তার একমাত্র ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এর থেকে চিন্তার আর কি হতে পারে। তখন জগদ্ধাত্রী তাকে সান্তনা দেয় এবং বলে সে সবটা খুঁজে বের করবেই যে করেই হোক। তখন জ্যাস চলে যায় অস্মিতাদের বাড়ি। সেখানে গিয়ে সে দেখে অস্মিতা অংক করছে। তখন জ্যাস তার পাশে গিয়ে বলে “অংক এমন একটি জিনিষ যেটা করতে খুব ভালো লাগে, মিলে গেলে খুবই ভালো লাগে কিন্তু না মিললে, না মিললে কেমন লাগে অস্মিতা।” তখন আর উত্তরে অস্মিতা বলে “খুব খারাপ, তখন মনে হয় সব ছিঁড়ে ফেলি।”

তখন জ্যাস বলে জীবনের অংকটাও একই। মিলে গেলেই ভালো লাগে তবে তার জন্য সেই অংকটা মিলছে না। কিন্তু অস্মিতা তার কথা শুনেই কিছু বুঝতে পারছেন না দেখে জ্যাস বলে রাহুল। সে তাকে ভালোবাসত এবং প্রপোস করেছিল তাই তো। তখন অস্মিতা বলে হ্যাঁ। তারপর কি হয়েছিল? তার উত্তরে অস্মিতা তাকে বলে “তারপর সে ভয় পেয়ে গেছিল এবং ক্যাব করে বাড়ি চলে এসেছিল। তখন জ্যাস বলে ক্যাবে বাড়ি আসতে তো ৭,৮ মিনিট লাগবে, এক দু ঘন্টা নয়। তাহলে এতটা টাইম সে কোথায় ছিল।

হিসেব মিলছে না, তখনই সেখানে চলে আসে অনিন্দিতা। তিনি জিজ্ঞাসা করেন কেন জ্যাস এখানে এসেছে। তখন জ্যাস তাকে পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি হাসপাতালের ইমারজেন্সি ছেড়ে এখানে কি করছেন তখন তিনি বলেন জ্যাসের জন্যও তার এই অবস্থা। তিনি এও বলেন তাদের অনেক কষ্ট করে সংসার করতে হয়। তার মেয়ের স্কুল অনেক নামিদামি তাই তারা কম টাকা রোজগার করে বলে তাদের হেয় হতে হয়। তখন জগদ্ধাত্রী বলে সে আসল লোককে খুঁজে বার করবে।

সে এও বলে যে সে আন্দাজ করেছে যে রাহুল আর বেঁচে নেই। তখন এটা শুনেই ভয় হয়ে যায় অনিন্দিতা। ওদিকে উৎসবের সঙ্গে দেখা করতে চলে আসে দিব্যা সেন এবং দেবুদা। দিব্যিয়া তাকে বলে সে এখানে কেন এসেছে তখন সে বলে তিনি উৎসবকে ছাড়াতে পারেন। তবে কৌশিকীকে বরবাদ করার জন্য তাকে সাহায্য করতে হবে সেটা শুনে ভাবতে থাকে উৎসব। তখনই কৌশিকীকে ফোন করে দিব্যা। ফোন ধরেই কৌশিকী বলে তার নামে একটা আর্টিকেল লিখে তাদের মতো ছোটরাই বড় হতে যায়।

সেটা শুনে রেগে যায় দিব্যা। তখন কৌশিকী তাকে বলে সে যে উৎসবকে ছাড়াতে গেছে সেটা পুলিশ জানলে কি হবে। সেটা শুনেই ঘাম ঝড়িয়ে তাঁকে তার। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের দিব্যা কি পারবে উৎসবকে নিজের দলে টেনে কৌশিকীর সর্বনাশ করতে নাকি আবারও মাত দেবে কৌশিকী। আর কি হয়েছে রাহুলের, জ্যাস কি পারবে রহস্য উদঘাটন করতে?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।