জি বাংলার ধারাবাহিকগুলি এখন মোটামুটি ভাবে দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে। এই যেমন নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu) , কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) , ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul ) প্রত্যেকটি ধারাবাহিকই নিজের নিজের গল্পে দারুন ভাবে উজ্জ্বল। তবে প্রত্যেকটি ধারাবাহিকের মধ্যে একটি মিল রয়েছে নারী সংগ্রাম।
এই তিনজনের স্বামীই তাদেরকে ডিভোর্স দিতে উদ্যত হয়েছে। যেমন অবস্থা শিমুলের তেমনই পর্ণার তেমনই মেঘের। তবে এই তিনজনের মধ্যে শিমুলের অবস্থাটা বোধহয় আরও একটু বেশি করুণ। স্বামী, শাশুড়ি, দেওরের তুমুল অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। সেই অত্যাচার কখনও মানসিক কখনও শারীরিক। তথাকথিত শিক্ষিত অসভ্য অভদ্র পরিবার কাকে বলে তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হল শিমুলের শ্বশুরবাড়ি।
এত শিমুল মেঘ এবং পর্ণার মতো নিজের শ্বশুরবাড়িকে শুধরে যাওয়ার জন্য বেশি সময় দেয়নি সেই শুরু থেকেই প্রতিবাদী। স্বামীর হাতে বৈবাহিক ধ র্ষণের শিকার হয়ে মার খেয়ে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরাগকে সে শাস্তি পাইয়েই ছাড়বে। শিমুলের এই লড়াইয়ে তার পাশে রয়েছে তার পাড়ার বন্ধুরা। পুলিশের কাছে সহায়তা না পেয়ে শিমুলের পাড়ার বন্ধুরা তাকে নিয়ে যায় ডিএম এর কাছে।
পুলিশ বাড়ি বয়ে এসে শিমুলকে দোষারোপ করে গেলেও, ডিএম ম্যাডাম কিন্তু মন দিয়ে শিমুলের প্রত্যেকটা অভিযোগ শুনেছেন। যাকে বলা যায় শিমুলের কষ্টটা অনুভব করেছেন। তিনি শিমুলের অভিযোগের ভিত্তিতে পরাগ-পলাশকে চিঠি পাঠাবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন। একই সঙ্গে শিমুলের প্রতিভা সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে তিনি শিমুলকে নাচ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং তাকে সর্বতভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
একজন ক্ষমতাবান নারী হয়ে একজন শোষিত অত্যাচারিত নারীর পাশে এইভাবে দাঁড়ানোর জন্য ডিএম ম্যাডামকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটবাসী। নিঃসন্দেহে এই ধরনের চরিত্রের মানুষ পাওয়া বিরল। তবে আজও যে সমাজে এই ধরনের মানুষ রয়েছে এই চরিত্রের মধ্যে দিয়ে সেটাই প্রমাণিত হলো।