জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মাত্র আড়াই মাসেই ইতি! বন্ধ হয়ে গেল ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’, শেষ শ্যুটিংয়ের ছবি পোস্ট হতেই আবেগে ভাসলেন ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’র অভিনেতা- অভিনেত্রীরা!

রোজকার ব্যস্ত সময়ে একফাঁকে একটু হাসি, কিছু কান্না, কিছু টানাপোড়েনের গল্প আমাদের ঘরের অন্দরমহলে এনে দেয় বাংলা ধারাবাহিক। ছোটদের থেকে বড়, সবাইকেই কখনও না কখনও ছুঁয়ে যায় টিভির পর্দায় দেখা কোনও চরিত্র বা কাহিনি। ঠিক যেমন দুগ্গামণি ও বাঘমামা—একটা নামেই যেন ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছিল এক আলাদা আবেগ।

শিশু-কেন্দ্রিক এই ধারাবাহিকটির গল্প যতটা সরল, তার আবেগের গভীরতা ঠিক ততটাই প্রভাব ফেলেছিল দর্শকদের মনে। বাচ্চাদের খুনসুটি, তাদের নিস্পাপ হাসি, আর মানালির মতো এক পরিচিত মুখ—সব মিলিয়ে ছিল এক প্যাকেজ। আর তার মধ্যেই একদিন হঠাৎ করেই শোনা গেল, আর চলবে না এই সিরিয়াল! অথচ কিছুদিন আগেই প্রেয়সীর মতো নতুন চরিত্রের আগমনে ফের একটুখানি আশা তৈরি হয়েছিল দর্শকমনে।

Tollywood,serial, Duggamoni O Baghmama, Zee Bangla Entertainment Television, Manali Dey, Radhika Karmakar, Rahul Dev Bose, রাহুল দেব বোস, রাধিকা কর্মকার, মানালি দে, অভিনেতা অভিনেত্রী টলিউড সিরিয়াল,

সম্প্রতি শেষদিনের শ্যুটিংয়ে অংশ নিয়ে একটি আবেগঘন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন প্রেয়সী বসু। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মানালির কোলে বসে আছে ছোট্ট রাধিকা, আর প্রেয়সী বসে কন্যাকুমারীর কোলে। পাশে রয়েছেন সৌম্য, অন্যান্য কলাকুশলীরা। ছবির ক্যাপশনে লেখা—‘স্মৃতিটুকু রয়ে যায়।’ এই একটি লাইনেই যেন থেমে গেছে দুগ্গামণি ও বাঘমামার সফর। পোস্টটি সামনে আসতেই মন খারাপ দর্শকদেরও।

গত মার্চে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকটি টিআরপির লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছিল প্রথম থেকেই। নানা চমক, টুইস্ট আনলেও, স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ বা ‘রোশনাই’-এর সামনে দাঁড়াতে পারেনি জি বাংলার এই মেগা। মাত্র আড়াই মাসেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় নির্মাতাদের। শুধু ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’ নয়, ‘তুই আমার হিরো’, ‘মিঠিঝোরা’-র মতো অন্য ধারাবাহিকগুলিও একই সমস্যায় ভুগছে।

চ্যানেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই একাধিক নতুন ধারাবাহিকের পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। তালিকায় আছে ‘রাণী ভবানী’, ‘কুসুম’-এর মতো নাম। ফলে ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’-র জায়গায় এবার আসছে একেবারে নতুন কোনও কনটেন্ট। যদিও ঠিক কোন ধারাবাহিক শুরু হবে সেই সময়ে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রিয় সিরিয়াল শেষ হলেও দর্শকদের মন থেকে মুছে যাবে না ‘দুগ্গামণি’ কিংবা ‘বাঘমামা’র হাসি, খুনসুটি আর আবেগের স্মৃতি।

Piya Chanda