জি বাংলার এমন একটি সিরিয়াল আছে যেটা বারবার সমাজের বিভিন্ন বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে। অনেকেই বুঝতে পারছেন কোন সিরিয়ালের কথা বলা হচ্ছে। আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিকটি বারংবার আমাদের বাস্তবতার দিকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।
সম্প্রতি যে এপিসোড গুলো দেখানো হচ্ছে তাতে একটা কথা স্পষ্ট যে গল্প এবার আসল যে থিম নিয়ে তৈরি ধারাবাহিক তাতে ঢুকেছে। এখানেই স্পষ্ট হয়েছে বেশ কিছু অ্যাঙ্গেল। আমরা এটা দেখতে পেয়েছি যে, নিজের পরিবারের লোকেরা বিপদের সময় কীভাবে হাত ছেড়ে দেয়। আমরা দেখতে পেয়েছি, টুকাই এখন প্যারালাইজড আর চিকিৎসার খরচ জোগাতে যখন শুক্লা সরকার বাড়ির বিক্রি করে দেওয়া লাস্ট অপশন বলে তখন যেভাবে বগলাকাকি আর মেজকা চূড়ান্ত খারাপ ব্যবহার করে তা দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় দর্শকরা। তাদের বক্তব্য হল তাদের তো ছেলে আছে, তার ভবিষ্যৎ টাও তো দেখতে হবে। টুকাই তো শুক্লা আর বড়দার ছেলে তাই তাদের নিজের ছেলে নিজেরা বুঝে নিক কিন্তু এই বাড়ি বিক্রি হবে না। যেটা শুনে সেখানে অবাক হয়ে যান সকলে।
সত্যি কথা বলতে বগলা কাকী যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই উর্মিকে দোষারোপ করেছে। আগে তো মুমুকে দিয়ে অজুহাত দিত এখন ছেলেকে নিয়ে এসেছে। উর্মি নিজের সমস্ত গয়না বিক্রি করে দেড় লক্ষ টাকা জোগাড় করেছিল সেটা কিন্তু বগলা কাকী জানে না, জানলেও বলত উর্মির দোষ। এমনিতে মেজো কাকা তো লোককে ঠকিয়ে টাকা উপার্জন করে, মুমুর সমস্ত পড়াশোনার দায়িত্ব তো টুকাই বহন করত।
নিজের শখ আহ্লাদ ক্যারিয়ার সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে পরিবারের হাল ধরার জন্য ট্যাক্সি চালাচ্ছিল টুকাই। সেই সময় কোথায় ছিল বগলা কাকি আর তার বর? টুকাইয়ের পয়সায় খেতে খুব ভালো লাগতো আর এখন যেহেতু টুকাই অকেজো হয়ে পড়েছে আসল রং বেরিয়ে এসেছে।
অন্যদিকে নান্টু যাকে নিজের ভাই হিসেবে মানতো সেওও বেইমানি করেছে। শুক্লা ক্যাবের সমস্ত টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে গেছে নান্টু। সেই জন্যই তো আরো বেশি করে টাকা-পয়সার দরকার উর্মির। এত বেহেনা বেহেনা করে বেড়ায় অথচ এই আসল সময়ে দেখা নেই ভিকির। এরকম চিত্র প্রায় অনেক ঘরেই রয়েছে যেখানে বিপদে পড়লে নিজের আত্মীয়রাই লাথি মেরে বেরিয়ে গেছে অথচ সুখের সময় সেই আত্মীয়রা কিন্তু সমস্ত টাকা-পয়সা উপহার নিয়ে গেছে সেই পরিবারের থেকে।