জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মাস্ক পরেও আটকানো গেল না বিপত্তি! ভিড়ের মাঝে হঠাৎ কী ঘটল ঈশানীর সঙ্গে? এবার পুজোর পরিকল্পনা কি তাহলে ভেস্তে গেল পারুলের?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) পারুল চরিত্রে অভিনয় করে ‘ঈশানী চ্যাটার্জী’ (Ishani Chatterjee) এখন ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ। অথচ কিছুদিন আগেও তিনি ছিলেন একেবারেই সাধারণ ছাত্রী, মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। সেই পড়াশোনার মাঝেই হঠাৎই সুযোগ আসে অডিশন দেওয়ার, আর অভিনয়ের প্রতি শৈশবের ইচ্ছেই তাঁকে টেনে আনে। পর্দায় পারুল চরিত্রটি দর্শকদের কাছে এতটাই বাস্তব হয়ে উঠেছে যে আজ ঈশানী রাস্তায় বেরোলেই মানুষ তাঁকে চিনে ফেলছেন!

এমনকি মাস্ক পরেও। গড়িয়াহাটের ভিড়ে বা সাধারণ রাস্তা দিয়ে হাঁটলেও তাঁকে থামিয়ে কথা বলতে চান ভক্তরা। তাঁর অনস্ক্রিন জুটি ‘রায়ান’ অর্থাৎ উদয় প্রতাপ সিং-এর সঙ্গে কেমিস্ট্রি এখন আলাদা করে আলোচনার বিষয়। দর্শক এই জুটিকে মজার ছলে নাম দিয়েছেন ‘টম অ্যান্ড জেরি কাপল’। কারণ যতই ঝগড়া হোক, ততই টিভির সামনে বসে তাঁদের দেখতে ভালোবাসছেন সকলে। শুরুর কয়েক মাস ধরে টানা বেঙ্গল টপার হয়েছিল ধারাবাহিকটি।

মাঝখানে একটু ধ্বস নামলেও আবার ফিরছে নিজের আগের আসনে। জনপ্রিয়তার এই ঢেউই ঈশানীকে বুঝিয়ে দিচ্ছে তাঁর পরিশ্রম কতখানি মানুষের মনে পৌঁছেছে। এই সাফল্যের মাঝেই পুজোর আনন্দকে ঘিরে একেবারেই অন্যরকম আবেগ কাজ করছে তাঁর মধ্যে। গত বছর অবধি তিনি ছিলেন সাধারণ মেয়ে, পরিবারের সঙ্গে একান্তই পুজো কাটাতেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। তিনি এখন উপার্জন করছেন, আর তাই নিজের টাকায় পরিবারের সবার জন্য উপহার কেনার তাগিদা রয়েছে।

মায়ের জন্য বিশেষ কিছু কেনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।যদিও জানেন মাকে যেটা দেবেন, সেটা তিনি পছন্দ করবেন কি না। অভিনয়ের ব্যস্ততা, আর ধারাবাহিকের শুটিং— সব মিলিয়ে এখনও কেনাকাটা শুরু করা হয়ে ওঠেনি ঈশানীর। তবুও তিনি জানিয়েছেন, ফাঁক পেলেই নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবারের জন্য জিনিসপত্র কিনে নেবেন। তাঁর কাছে এবারের পুজো মানে শুধু আনন্দ নয়, বরং প্রথমবার উপার্জন দিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আনন্দও।

ঈশানী জানিয়েছেন, দুর্গাপুরের বাড়ি এবং পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে এবারের পুজো কাটাতে চান তিনি। ছোটবেলার বন্ধুরা আগেই জানিয়ে দিয়েছে, কিছুটা সময় তাদের জন্য রাখতেই হবে। পাশাপাশি স্থানীয় পুজো কমিটিগুলির থেকেও অনুরোধ এসেছে। তাই সময়ের অঙ্ক মেলানো তাঁর পক্ষে সহজ হবে না। তবুও চেষ্টা করছেন, পরিবারের পাশাপাশি বন্ধু এবং এলাকার মানুষদের সঙ্গেও উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে। তাঁর কথায়, ভক্তদের ভালোবাসা এবং পরিবারের প্রত্যাশাই এখন তাঁকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান! “আজ একটু একটু করে আমাদের দেখা স্বপ্নগুলো সত্যি হচ্ছে।” – অবশেষে নিজের স্বপ্নপূরণের গল্প শোনালেন ‘বুলেট সরোজিনী’ খ্যাত সঞ্চারী মণ্ডল! কোন স্বপ্নপূরণ হলো অভিনেত্রীর ?

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Piya Chanda