টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ সঞ্চারী মণ্ডল। খলনায়িকার চরিত্রে তাঁকে দেখে চেনেন দর্শক, তবে বাস্তব জীবনে তিনি একেবারেই আলাদা। ছোটপর্দার দীর্ঘ যাত্রা তাঁকে দিয়েছে জনপ্রিয়তা, দিয়েছে অসংখ্য অভিজ্ঞতা। কিন্তু এত বছর পর অভিনেত্রীর কণ্ঠে শোনা গেল এক অন্য রকম গল্প ১৫ বছরের পুরনো এক স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হল তাঁর।
অভিনেত্রী সঞ্চারী ও পরিচালক জিৎ চক্রবর্তীর সম্পর্ক বহু দিনের। প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছিলেন কাছের মানুষ ধারাবাহিকে। তখনও দু’জনেই লড়াই করছেন নিজেদের জায়গা করে নেওয়ার জন্য। সেই সময়ের একসঙ্গে দেখা দিবাস্বপ্নের কথা আজও ভোলেননি সঞ্চারী। আর এত বছর পরে আবারও বন্ধুর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি, তাও এমন এক প্রোজেক্টে যা জিতের জন্য বিশেষ মাইলস্টোন।
জিৎ চক্রবর্তী শুধুমাত্র পরিচালনাই করছেন না, নিজের প্রযোজনাতেও হাত রেখেছেন এবার। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের আবেগঘন কাহিনি নিয়ে তিনি বানাচ্ছেন নতুন ছবি। ছবিতে নায়ক হিসেবে থাকছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, আর বিপরীতে কিরণ মজুমদার। নতুন এই যাত্রার সাক্ষী হয়ে উঠেছেন সঞ্চারীও। বন্ধুর এই সাফল্যের অংশীদার হতে পেরে তিনি ভীষণ খুশি।
অভিনেত্রী তাঁর আবেগ লুকোতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন—“আজ একটু একটু করে আমাদের দেখা স্বপ্নগুলো সত্যি হচ্ছে। আজ আমার বন্ধু একাধারে প্রোডিউসার এবং পরিচালক। আমার মা আবারও আমার শুটিং ফ্লোরে, আমার এই বন্ধুর আবদারে। আজ আমার মায়ের সাহস আমার আর আমার বন্ধুর স্বপ্নপূরণ করেছে।” এখানেই ধরা পড়ছে ১৫ বছরের অপেক্ষার আবেগ।
প্রসঙ্গত, সঞ্চারী মণ্ডলকে দর্শক সবথেকে বেশি মনে রেখেছেন ‘বুলেট সরোজিনী’ ধারাবাহিকের জন্য। দুঁদে খলনায়িকার চরিত্রে তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিলেন। তবে বাস্তবে তিনি যতটা সরল, চরিত্রে তিনি ততটাই দৃঢ়। এবার নতুন প্রোজেক্টের হাত ধরে তাঁর পুরনো সম্পর্ক, পুরনো স্বপ্ন আবারও ফিরে এল বাস্তবে।
আরও পড়ুনঃ আর্যর সামনেই অপর্ণার হাত হিন্দোলের হাতে তুলে দিলেন সতীনাথ-সুমি! রাজলক্ষ্মী এসেছিলেন আর্যর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, শেষ মুহূর্তে সব ভেস্তে দিল হিন্দোলের মা! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’এ আর্য-অপর্ণার সম্পর্কের করুণ পরিণতি!
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।