জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

আর্যর সামনেই অপর্ণার হাত হিন্দোলের হাতে তুলে দিলেন সতীনাথ-সুমি! রাজলক্ষ্মী এসেছিলেন আর্যর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, শেষ মুহূর্তে সব ভেস্তে দিল হিন্দোলের মা! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’এ আর্য-অপর্ণার সম্পর্কের করুণ পরিণতি!

জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপু আর মা পুজোর বাজার করে বাড়ি ফিরতেই সতীনাথ উৎসাহী হয়ে জানতে চায় যে পুজোর সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে কি না। অপুর মা বলেন, অপু পুজোর সবটা সামলে নেবে। কিন্তু অপুকে চুপচাপ দেখে সতীনাথ জানতে চান, অপু কী নিয়ে এত চিন্তা করছে। এমন সময় রুম্পা এবং তার মা খোঁজ নিয়ে আসে যে, পুজোর কাজে কোনও সাহায্য লাগবে কি না।

অপর্ণার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার জন্য রুম্পা ঝালমুড়ি খেতে যাওয়ার কথা বলে। সতীনাথ না করে দেয়, অপু কোথাও যাবে না বলে। এদিকে আর্য বাড়ি ফিরে রাজলক্ষ্মীকে অপর্বাদের বাড়ির পুজোর কথা জানায়। রাজলক্ষ্মীও তৎক্ষণাৎ ঠিক করে নেন যে, পুজোর দিনেই অপর্ণার সঙ্গে আর্যর বিয়ের কথাটা বলবেন। রাজলক্ষ্মী বলেন, এইসব বিষয় বেশিদিন ফেলে রাখা উচিত নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আর্য-অপর্ণার চার হাত এক করে দিতে চান তিনি।

সতীনাথ মীরাকে ফোন করে পুজোর আমন্ত্রণ জানাতে। কিন্তু মীরা প্রথমে ভয় পেয়ে যায় যে, সতীনাথ সবাইকে বলে দিয়েছে তাঁর জন্যই হাসপাতালে যেতে হয়েছিল তাকে। এদিকে রাতে অপর্ণার কিছুতেই ঘুম আসছে না। আর্যও ঘুমাতে পারছে না উত্তেজনায়। রাতেই অপর্ণাকে ম্যাসেজ করে বলে যে, পুজোর শেষে একটা সারপ্রাইজ আছে তার জন্য। যেটা জানলে নাকি অপর্ণার সবচেয়ে আনন্দ হবে। আর অপর্ণাও আর্যকে জানায়, তার সঙ্গেও অনেক কথা বলার আছে।

যদিও রুম্পার সঙ্গে বলা কথা অনুযায়ী, অপর্ণা সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার কথা জানাবে আর্যকে। এরপর কী পরিণতি হবে, ভেবেই কেঁদে ওঠে অপর্ণা। পরদিন সকাল হতেই দেখা যায়, অপর্ণাদের বাড়িতে পুজোর জোগাড় চলছে। অপর্ণা লাল-সাদা শাড়ি এবং সোনার গয়নায় সেজেছে। তাঁকে দেখে মা বাবা চোখ ফেরাতে পারছেন না একেবারে। অপর্ণা বাবার ওষুধ খাওয়ানোর কথা মনে করিয়ে দেয় মাকে।

হঠাৎ করে বিয়ের প্রসঙ্গ তোলে সতীনাথ, এবার অপর্ণার সন্দেহ আরও শক্ত হয়। অপুর মাও ভাবেন যে, মেয়ের একটা সংসার গড়ে দিতে পারলে হয়তো আর্যকে ভুলে যাবে সে। একদিকে পুজোর জোগাড় করছে অপর্ণা অন্যদিকে আর্যদের বাড়ির সকলেই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে রওনা দিয়েছে। কিন্তু আর্যরা প্রস্তাবটা দেওয়ার আগেই, সতীনাথের চিকিৎসক, হিন্দোলের মা বলেন যে অপর্ণাকে তিনি ছেলের বউ করতে চান। তাঁর এক কথায় রাজি হয়ে যান অপুর মা-বাবা!

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Piya Chanda