এই মুহূর্তে বাঙালির প্রিয় ধারাবাহিক কোনটি? জিঞ্জাসা করলে অনেকেই উত্তর দেবেন ‘মিঠাই।’ এখনকার বাংলা ধারাবাহিকের ট্রেন্ড অনুযায়ী টিআরপি তালিকায় ভালো কিছু করে দেখাতে না পারলে সরে যেতে হবে আপাতত এই প্রথাই চলছে টেলিভিশন জুড়ে। এখন এক একটি ধারাবাহিকের মেয়াদ খুব বেশি হলে ছয়-সাত মাস। ‘মিঠাই’, ‘গাঁটছড়া’র মতো কিছু ধারাবাহিক এক, দুই বছরের গন্ডি পেরিয়েছে। সম্প্রতি একাধিক চ্যানেলে বিভিন্ন সিরিয়াল বন্ধ হয়ে চালু হয়েছে একাধিক নতুন সিরিয়াল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথাও গিয়ে বাঙালির সিরিয়াল প্রেমে খামতি আসেনি। জানা গেছে, জি বাংলায় শুরু হতে চলেছে দুটি নতুন ধারাবাহিক।
উল্লেখ্য, জি বাংলায় শুরু হতে চলেছে এক নতুন ধারাবাহিক ‘ফুলকি।’ সামনে এসেছে ‘ফুলকি’র প্রোমো। ধারাবাহিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে নবাগতা অভিনেত্রী দিব্যানি মন্ডলকে। আর তাঁর বিপরীতে সোমরাজ মাইতি। মূলত বক্সিংকে কেন্দ্র করেই এই ধারাবাহিক। জানা গেছে, জি বাংলা প্রোডাকশন তৈরী করছে এই ধারাবাহিক।
উল্লেখ্য, জানা গেছে, এই ধারাবাহিক আসার ফলে জি বাংলা প্রোডাকশনের অন্য একটি ধারাবাহিক বন্ধের মুখে দাঁড়িয়ে। টেলিপাড়ায় গুঞ্জন সন্ধ্যা ৬টার স্লটে ২৪শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এই ধারাবাহিক। যথারীতি এই স্লটে দেখানো হয়ে থাকে মিঠাই। শোনা যাচ্ছে এই ধারাবাহিক এবার বন্ধের মুখে দাঁড়িয়ে। এখন সমগ্র টিআরপি তালিকায় অনেকটা পিছিয়ে পড়লেও এখনও স্লট লিডার ‘মিঠাই।’ যেখানে ‘সোহাগ জল,’ ‘ইচ্ছে পুতুল’, ‘তোমার খোলা হাওয়া’র টিআরপি মিঠাইয়ের থেকে কম তা সত্ত্বেও বন্ধ হতে হচ্ছে মিঠাইকে।
তবে শেষের মুখে দাঁড়িয়ে মিঠাই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দর্শকদের।দর্শকদের মতে এই ধারাবাহিকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র পরিবারের জন্য ভেবেই গেল মিঠাই। কোনওরকম মূল্যায়ন হলনা চরিত্রটার সঙ্গে। শুধুমাত্র পরিবারের ভালো, খারাপ লাগা নিয়েই ভেবে গেল সে। আলাদা করে তাঁকে নিয়ে কোনও কিছু দেখানো হয়নি এই ধারাবাহিকে। আর তাই এই ধারাবাহিক বন্ধ হোক চাইছেন দর্শকরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দর্শক লিখেছেন, ‘মিঠাই একমাত্র সিরিয়াল যেখানে নায়িকার কোন মুল্যায়ন নেই, সারাক্ষণ খালি এই কর সেই কর পরিবার নিয়ে পরে থাকে তার বাহিরে মিঠাইয়ের ভালোলাগা বা কোন কিছুর দাম নেই।আমি মনে করে রাখি ম্যান ইচ্ছে করেই এইরকম করছে, আমরা সবাই মিঠাই দেখছি টিআরপি পাচ্ছে সেই কারনে যা খুশি করে।সবাই দেখা বন্ধ করে দিলে দেখবেন তখন মিঠাইকে নিয়ে ভাববে নয়তো দুই-একটা রোমান্টিক সিন দেখিয়ে পুরো মাসের কষ্টটা এইভাবে কেউ লাঘব করে না।মিঠাই আসছে খালি সবার হুকুমের দাস হয়ে। মিঠাই চরিত্রটাতে কিছু নেই দেখার শুধু শুধু মানুষের কাছে খারাপ বানানো হচ্ছে । শেষ করে দিক এইটাই চাই, এইভাবে ঘেটে যাওয়া গল্প আর দেখতে ইচ্ছে করছে না।’