জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

সংসার বাঁচাতে চায়ের দোকান দিল পাখি! ‘চা-চপ শিল্পের বড় শিল্পপতি হবে পাখি ও স্বামীর ৪-৫টা বিয়ে হবে’! আসন্ন পর্ব নিয়ে হচ্ছে খিল্লি

জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় এই মুহূর্তে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল রাঙা ব‌উ (Ranga Bou)। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয়। টিআরপি তালিকাতেও প্রথম পাঁচে রয়েছে এই ধারাবাহিকটি। পরিবারের লোকেদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বাড়ি ছেড়েছে কুশ, পাখি ও তাদের জেঠু, জেঠিমা।

পরিবার টানতে রান্নার কাজ করছিল পাখি। কিন্তু সেই কাজ থেকে হঠাৎই তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরিবারের কোন‌ও সদস্যই যে ষড়যন্ত্র করছেন, সেটা এখনও জানতে পারেননি পাখি। তাঁর নামে যে কেয়াকে নানা মিথ্যা বলেছেন ঈন্দ্রাণী। কাজ হারিয়ে কার্যত আতান্তরে পড়েছে পাখি। অন্যদিকে কুশের জেঠু আবার মুচির কাজ করছেন কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির শিকার হয়ে।

তাঁকে এই অবস্থায় দেখে ফেলে পাখি। তিনি বুঝতে পারেন, পরিবারের আর্থিক সমস্যার কারণেই মুচির কাজ করছেন তরুণজ্যোতি। কিন্তু এই বয়সে জেঠুকে মুচির কাজ করতে দেখে পাখি ভীষণ কষ্ট পায়। পাখি যে তাঁকে মুচির কাজ করতে দেখে ফেলেছেন, সেটা বুঝতে পেরে জেঠুও অস্বস্তিতে পড়ে যান। বাড়ি ফিরে তরুণজ্যোতি স্বীকার করেন, তিনি মুচির কাজ করছেন। সে কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী বেলারানি।

কেমন প্রাচুর্যের মধ্যে তারা দিন কাটাতেন। আর বর্তমানে কি দিন দেখতে হচ্ছে তাদের। ‌ বর্তমান অবস্থার জন্য ভাগ্যকেই দোষারোপ করেন বেলারানি। কুশ এসে তার জেঠুকে বলে, এই বয়সে জেঠুকে মুচির কাজ করতে দেখে তাঁর খুব খারাপ লাগছে। সে জেঠুকে এই কাজ না করার জন্য অনুরোধ করে। তরুণজ্যোতি কথা দেন, তিনি আর রাস্তায় গিয়ে মুচির কাজ করবেন না।

তবে বর্তমানে তারা যেখানে আছে, সেখান থেকে‌ও তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ সব দিক থেকে সাঁড়াশি চাপ। ফলে এবার কোথায় থাকবেন, কী করবেন, সে কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কুশ ও পাখি। তারা স্থির করে রাস্তায় নেমে লড়াই করবে তারা। যেমন ভাবা তেমন কাজ। রাস্তার ধারে একটি চায়ের দোকান খোলে পাখি। এর আগে অবশ্য একটি বিউটি পার্লার‌ও খুলেছিল পাখি। আর পাখিকে চায়ের দোকান খুলতে দেখেই সোশ্যাল মাধ্যমে জুড়ে বয়ে যায় কটাক্ষের বন্যা।

আরও পড়ুনঃ টিআরপি জমছিল না! একটা বউ থাকতে আবার একটা বিয়ে করে ঢুকল সোমরাজ! সংসার ভাঙছে তিতিরের

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘শুধু চা কেনো এর সাথে চপ তেলেভাজা ও থাকলে জমে যাবে…তারপর পাখি চপ শিল্পের বড় শিল্পপত্নী হয়ে যাবে ব্যাস…তারপর পাখি আকাশে উড়ে চাঁদে চলে যাবে….সেখানেও চা ও চপ এর শিল্প গড়ে তুলবে….এইভাবে একদিন গোটা ব্রাহ্মণ্ডেই পাখি ছড়িয়ে দেবে তার শিল্প ….ও মাঝখানে পাখির স্বামীর চার পাঁচটা বিয়ে হয়ে যাবে….আমার সামান্য লেখনী এখানেই থেমে যাচ্ছে…কিন্তু পাখি থামবে না।’ একজন লিখেছেন ‘পাখি কি সারা জীবন নেকা সেজেই থাকবে’, একজন লিখেছেন, ‘কাঞ্জিভরম পরে চা বানাবে?’ বলা যায় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কার্যত হাসির রোল উঠেছে রাঙা বউ ধারাবাহিকের পোস্ট দেখে।

Ratna Adhikary