জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বক্সিং রিংয়ে ফুলকি অন্ধ হয়েও দুর্দান্ত কামব্যাক করল! শালিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জয় পেল সে

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি দীর্ঘদিন ধরে দর্শকদের মনে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। বিশেষ করে ফুলকি ও রোহিতের জুটি দর্শকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকটি নিয়মিতভাবে টিআরপি তালিকায় চমক এনে দিচ্ছে, যা প্রমাণ করে দর্শকদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি ধারাবাহিকের কাহিনিতে নতুন মোড় এসেছে বক্সিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, যেখানে ফুলকির লড়াই দর্শকদের উত্তেজিত করে তুলেছে। প্রতিযোগিতার আয়োজনের সময় বাড়ির সকলের উপস্থিতি ও ফুলকির আত্মবিশ্বাস পুরো পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

শেষ কয়েকটি পর্বে দেখা গেছে, ফুলকি তার প্রতিপক্ষ শালিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। প্রথমদিকে শালিনী ফুলকিকে দুর্বল প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করলেও, ফুলকি তার বুদ্ধিমত্তা ও প্রতিভার পরিচয় দিতে থাকে। শালিনীর প্রতিটি পদক্ষেপ ও কথার আওয়াজ অনুসরণ করে ফুলকি বুঝতে পারে, কিভাবে আক্রমণ করলে সে জয়ী হতে পারবে। যদিও শালিনীও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ফুলকিকে বেশ কয়েকবার মাটিতে ফেলে দেয়, তবে ফুলকি কখনও হার মানে না। সে আবার উঠে দাঁড়ায় এবং শক্তি সঞ্চয় করে লড়াই চালিয়ে যায়।

Phulki, ফুলকি, জি বাংলা, জি বাংলা সিরিয়াল, zee Bangla

আজকের পর্বে আরও উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য অপেক্ষা করছে দর্শকদের জন্য। ফুলকি এক পর্যায়ে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মনে হতে থাকে সে হয়তো আর লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে না। অন্যদিকে, থানায় বন্দি রোহিত পুলিশ অফিসারের মাধ্যমে ম্যাচের লাইভ সম্প্রচার দেখতে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তে ফুলকির মা কালী সেখানে এসে তাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। মায়ের কথায় নতুন শক্তি খুঁজে পায় ফুলকি, সে আবার উঠে দাঁড়ায় এবং প্রবল আক্রমণে শালিনীকে পরাস্ত করে। শালিনী ম্যাচে আর টিকে থাকতে পারে না, এবং ফলাফল স্বরূপ ফুলকি বিজয়ী হয়। নির্মাতারা জানিয়ে দেন, এবার ফুলকি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে।

বিজয়ের আনন্দের মাঝেও ফুলকির মনে একটাই চিন্তা—রোহিতকে জেল থেকে মুক্ত করা। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই সে ছুটে যায় থানায় রোহিতের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে গিয়ে সে রোহিতকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, সে যেকোনো মূল্যে তাকে মুক্ত করবে। তবে এর জন্য একমাত্র উপায় হলো শালিনীর মুখ থেকে সত্যিটা বের করা। ফুলকি ভাবতে থাকে, কিভাবে শালিনীকে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা যায়।

এদিকে, রোহিত বারবার ফুলকিকে সাবধান করে দেয়, যাতে সে কোনো ঝুঁকি না নেয়। ফুলকি যেন কোনো বিপদে না পড়ে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলে। কিন্তু ফুলকির মন শক্ত, সে যে করেই হোক রোহিতকে মুক্ত করবে। এখন দেখার বিষয়, ফুলকি কী উপায়ে শালিনীকে সত্যি বলতে বাধ্য করে এবং কিভাবে রোহিতকে কারাগার থেকে মুক্ত করে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page