জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

সত্যের মুখোমুখি আঁখি! দেবার জীবনের সত্যি তুলে ধরল ঝিলিক! বিরাট চমক দুই শালিকে

দেবার বিষয় সত্যি জানতেই অবাক হয়ে গেল আঁখি। ‘দুই শালিক’ সিরিয়ালের গল্পের শুরুতেই দেখতে পাওয়া যাবে, গোরা প্রচন্ড পরিমাণে ড্রিঙ্ক করে বাড়িতে ফিরেছে। এই সময় ঝিলিক গোরার হাতে অনেকগুলো কাগজ দেখতে পায় এবং তাতে তার সন্দেহ বেড়ে যায়। কাগজগুলো দেখেছিলি মনে করে, সে ওই কাগজ থেকে অনেক তথ্য পেতে পারে। কিন্তু গোরা ঝিলিককে প্রথমে কোন কাগজে হাত দিতে দিচ্ছিল না তারপরেই গোরা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায় সেই সুযোগের সৎ ব্যবহার করে ঝিলিক। গোরার হাত থেকে কাগজগুলো নিয়ে নেয়।

কাগজগুলোর মধ্যে দেখতে পায় দিবা এবং তার মায়ের ফটো। ফটো দেখে বলে, “এটা নিশ্চয়ই রিতা মাসি আর এটা দেবার ছোটবেলা। কিন্তু এই ফটোটা গোরার কাছে এলো কি করে?”। পুরো ব্যাপারটা আরো পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য বাকি পড়ে থাকে কাগজগুলো ঘাটতে থাকে। আর সেই সব কাগজগুলোর মধ্যে থেকেই একটা কাগজে স্পষ্ট লেখা রয়েছে প্রিয় রঞ্জন এর স্ত্রী হল রিতা মাসি। কাগজে লেখা আছে, “প্রিয়রঞ্জন তুমি জানো না আমাদের ছেলের নাম আমি কী রেখেছি? আমাদের ছেলের নাম হচ্ছে দেবাদিত্য”। আর শুধু এটুকু পড়ার পরেই ঝিলিক সব সত্যিটা বুঝতে বেড়ে যায়।

dui shalik today episode 14 january

এইবার ঝিলিক বুঝতে পেরে যায় প্রিয় রঞ্জন এর উপর কেন এত রাগ দেবার। ঝিলিক মনে মনে ভাবতে থাকে দিয়ে সত্যিটা জানা সত্ত্বেও সে কাউকে বলেনি। এমনকি ঝিলিক আরো মনে মনে ভাবতে থাকে এইসব কথা আঁখিকে তাকে জানাতেই হবে। এরপর ছিলি আঁখি কে ফোন করে বলে তাঁর সাথে অনেক জরুরী কথা আছে। আর আজকে ফোন করার সময় ঝিলিকের সামনে চলে আসে গৌরব। গৌরব বলে, “তুমি কার সাথে দেখা করবে? কার সাথে দেখা করতে চাইছ?”। ঝিলিক বলে সে কারো সাথেই দেখা করতে চায় না।

এই সময় গৌরবের চোখ সে ঝিলিকের হাতে থাকা কাগজের গুলো ওপর। এরপরও গৌরবকে ভুলভাল কথা বুঝিয়ে কাগজগুলো আড়াল করে নেয় ঝিলিক। ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র প্রেমপত্রের কথা শুনে গৌরাভার কোন সাহস দেখায় না সেই চিঠিগুলো পড়ার। অন্যদিকে দেবা সকাল হতেই সরস্বতী পুজো নিয়ে আলোচনা করতে বসে পড়েছে সবাইকে নিয়ে। আলোচনা করার সময় পল্টু চার আনা সবাই ভাবতে থাকে শিক্ষিত কয়েকজন ছেলে মেয়ে পেলে খুব ভালো হত চাঁদা তোলার জন্য। এই সময় আঁখি এসে দেবাকে বলে তার সাথে কিছু জরুরী কথা রয়েছে।

আঁখি দেবাকে বলে “আমাকে ঝিলিক ডেকেছে। কাল রাতে আমার ফোন করেছিল। আমাকে একবার সেখানে যেতে হবে”। এরপর আঁখি ঝিলিকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। অন্যদিকে, এর মধ্যেই প্রিয়রঞ্জন অফিসে চলে গিয়ে দেখি ছবির জায়গায় ছবিটা নেই পড়ে গেছে। এরপর ছবিটা দেয়ালে টাঙিয়ে দেওয়ার পর অনেক ন জরুরী কাগজ খুঁজে পাচ্ছি না ওই ফটো ফ্রেমের পিছন থেকে। আঁখি কে যে রজতাভ লাহিড়ীর বাড়ি থেকে এনেছিল, সেই ডকুমেন্টগুলো খুঁজে পেলেও বাকি কিছু খুঁজে পাচ্ছে না। যেগুলো খুঁজে পাচ্ছে না সেগুলোই গোরা নিয়ে গেছিল এবং সেগুলি ঝিলিকের হাতে পৌঁছে গেছে। অবশেষে দেখা যায় যে সমস্ত দেবার জীবনের নানা সত্যি কথা বলে দেয় আঁখিকে।

Soumi