সম্প্রতি মেঘ জানতে পেরেছে, তাদের বাপেরবাড়ির পাড়ার এক লম্ফোট ছেলের সঙ্গে নীলের বোন গিনির সম্পর্ক রয়েছে। আর তাই মেঘ সেই সম্পর্ক নিয়ে খুবই চিন্তিত মেঘ। মেঘ চায় না গিনি এই সম্পর্কে থাকুক। কিন্তু গিনিকে রূপের থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের সম্মানেই দাগ লাগলো মেঘের। আমরা জানি, শ্বশুর ও ঠাম্মি ছাড়া মেঘকে গাঙ্গুলি বাড়ির বউ হিসাবেও মানতে চায় না কেউ। তবুও মেঘ সর্বদা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে নিজের ভেবে আগলে রাখার চেষ্টা করে। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul)।
শুরু হওয়ার সাথে সাথে বড় লিপ নেওয়ার কথাও উঠেছে এই ধারাবাহিকের। দুই বোনের গল্প নিয়েই শুরু হয় এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিক শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই গল্পে লেখক এনেছেন বিয়ের ট্র্যাক। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়, তিতিক্ষা দাস এবং শ্বেতা মিশ্র। ধারাবাহিকে দুই বোনের মধ্যে বড় বোন অসুস্থ এবং ছোট বোন নিজের জীবন স্যাক্রিফাইস করে দিদিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু তারপরও বড় বোন ময়ূরী ছোট বোন মেঘকে পছন্দ করে না। আর ছোট বোন এতদিন দিদির সব কথা মুখ বুজে সহ্য করে।
পাশাপাশি এও দেখা যায়, দিদির ছোট বোনের পছন্দের ছেলেকেও বিয়ে করতে চায় সে। কিন্তু ময়ূরীর সাথে না হয়ে সৌরনীল-এর সাথে বিয়ে হয়েছে মেঘের। আর সেখান থেকে মেঘের জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তবে সকলের সামনে ময়ূরী ভালো সাজলেও সে মনে মনে রেগে আছে মেঘের উপর। আর তার জন্য সে সবসময় মেঘকে বিপদে ফেলার নানারকম ফন্দি করে চলেছে। তবে শ্বশুরবাড়ির কেউ মেঘকে পছন্দ না করলেও মেঘ সকলেরই ভালো চায়। নীলের বোন গিনিও মেঘকে একেবারেই সহ্য করে না।
আর তাই স্বাভাবিক ভাবেই মেঘের কথায় পাত্তা দেয় না গিনি। আর এই সুযোগে ময়ূরী একটি মোক্ষম চাল চালে। ময়ূরী মেঘের শ্বশুরবাড়ি এসে বলে, রূপ মেঘের বয়ফ্রেন্ড ছিল। মেঘের কারণেই সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। কিন্তু রূপ একজন ভালো ছেলে। আর তার কথা গিনি, মিনি, শাশুড়ি সকলেই বিশ্বাস করে নেয় আর ভাবে তাই মেঘ এই সম্পর্ক হতে দিতে চাইছে না। এমনকি নিজের বয়ফ্রেন্ডের নাম খারাপ কথা শুনে মেঘকে চড় পর্যন্ত মারতে যায় গিনি।
কিন্তু সত্য কতদিন চাপা থাকবে। শেষমেশ গিনির সামনে এল রূপের আসল চেহারা। রেস্টুরেন্টে গিয়ে রূপকে এক বিবাহিত মহিলার সাথে দেখে গিনি অবাক হয়ে যায়। তখন গিনি রূপের কাছে গেলে রূপ স্ত্রী-এর কানে কানে বলে, এই মেয়েটি সুন্দর ছেলে দেখলে এরকম করে। এর কথায় কান না দিতে। গিনি সেটা শুনে ফেলে ও ভাবে তাহলে কি মেঘ ঠিক বলেছিলো? কিন্তু তবুও গিনি সেখান থেকে যায় না। সে ভাবে যে সে এতো তাড়াতাড়ি হেরে যাবে না। এবার গিনি কি করতে চলেছে তাই দেখার।