এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলির তালিকা তৈরি করলে তার মধ্যে অবশ্যই থাকবে জি বাংলার ধারাবাহিক গৌরী এলো। মা কালী ও মানুষের জীবনের অদ্ভুত সমাপতনের গল্প বলে এই ধারাবাহিক।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে গৌরীর চরিত্রে অভিনয় করছেন নবাগতা অভিনেত্রী মোহনা মাইতি। উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে দেখানো হয় তিনি মা কালীর চরম ভক্ত। তাঁর জীবনে মা কালীর স্থান বন্ধুর মতো। সে মায়ের সঙ্গে হাসে, নিজের দুঃখ,অভিযোগ, অভিমান জানায়। বিভিন্ন সময় এই ধারাবাহিক বিভিন্ন কারণে কটাক্ষের শিকার হলেও অনেক সময় প্রশংসাও কুড়িয়েছে এই ধারাবাহিক।
প্রসঙ্গত, এই ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, গ্রামের মেয়ে গৌরী আর শহুরে ডাক্তারবাবু ঈশানের ভাগ্যক্রমে বিয়ে হয়। অবশ্য তাঁরা সাধারণ মানুষ নয়। তাঁরা হলেন মহাদেব শিব ও মা কালীর উৎস। যদিও এই বিষয়ে তাঁরা খুব একটা অবগত নয়। কিন্তু মাঝেমধ্যেই গৌরী মা কালী রূপ ধারণ করে দুষ্টের দমন করে।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিক অনুযায়ী গৌরী হল দেবী ঘোমটা কালী আর তাঁর স্বামী ঈশান হলো মহাদেবের অংশ। এরফলে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অসাধ্যসাধন করে ফেলেন তাঁরা দু’জন। মাঝেমধ্যেই মাতৃরূপে প্রকট হয় গৌরী, আবার কখনও নীলকন্ঠ রূপে বিষ পান করেও বেঁচে থাকে ঈশান। গৌরী-ঈশানের মিলন দৃশ্যও অসংখ্য বার দেখানো হয়েছে এই ধারাবাহিকের পর্দায়।
যদিও কিছু এপিসোড আগে দেখানো হয় ঈশান-গৌরীর এই মহামিলন পর্বে আসে প্রলয়। আর তাতেই মৃত্যু হয় ঈশানের। যদিও এই মৃত্যুর পিছনে ছিল শৈল মা ও তার প্রেমিক পুরোহিত। যদিও ঈশানের মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি গৌরী। আবার ঘোমটা কালীও বারবার ঈঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন বেঁচে আছে ঈশান। কিন্তু এইসবের মধ্যেই গৌরীকে মারার ষড়যন্ত্র করে শৈল মা ও পাপী পুরোহিত। শৈল মা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গৌরীকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেয়। কিন্তু না অত উঁচু থেকে নীচে গৌরী এসে পড়ে ফুলের বিছানায়। তাঁর ফলে আহত হয়নি সে।
আর এরপরই আসে নতুন চমক। গৌরীকে দেখে ডাক্তার জানায় যে এবার মা হতে চলেছে সে। স্বামী ছাড়াই গৌরীর কোল জুড়ে আসছে বংশধর। আর এই চমক হজম করার আগেই আবার নতুন চমক। ডাক্তারি ছেড়ে এবার পর্দায় ঈশান ফিরছে মহাদেবের সাধক রূপে। লাল বসন, মাথায় জটা, লম্বা দাড়ি, কপালে তিলক নিয়ে ফিরছে ঈশান। হয়ত ধারাবাহিকে দেখানো হবে খুব শীঘ্রই গৌরীর সঙ্গে দেখা হবে ঈশানের। কিন্তু এইসব দেখে রীতিমত ব্যঙ্গ কটাক্ষ করা শুরু করেছে দর্শকরা। তাঁরা বলছেন, ‘গৌরী এলো’ নাম পরিবর্তন করে ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ নাম রাখা উচিত এই ধারাবাহিকের। আসলে ঠাকুর দেবতা নিয়ে এহেন ইয়ার্কি পছন্দ হচ্ছে না দর্শকদের।