জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মারা যায়নি! বেঁচে ফিরবে আদৃত! তবে কী ওই একই নায়ককে দেখা যাবে? তুঙ্গে জল্পনা

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক গৃহপ্রবেশ (Grihoprobesh)-এ বর্তমানে দেখানো হচ্ছে শুভর মা হওয়া হয়েছে এক ফুটফুটে পূত্র সন্তানের। অন্যদিকে, আদৃতকে ভারতে যেতে হয় একটি বড় ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য। সেখানে গিয়েই আদৃত এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং সবাই ভবতে থাকে সে আর বেঁচে নেই। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প।

আজকের পর্বের শুরুতেই আমরা দেখি শুভ সেবন্তীকে জড়িয়ে ধরে খুব কান্নাকাটি করতে থাকে আদৃতের জন্য। সেবন্তী বলে, “তোকে নিজের জন্য না হলেও কেশব এর জন্য শক্ত হতেই হবে, কি করবি বল ওর ভাগ্যে বাবার সুখ নেই”। ঠিক এমন সময়ে পূরবী সেখানে আসে আর শুভকে অনেক বুঝিয়ে নিজের ঘরে পাঠিয়ে দেয়। পূরবী সেবন্তীকে বলে, “এই শুভকে যে আর চোঁখে দেখা যাচ্ছে না, কি অবস্থা হয়েছে মেয়েটার। পৃথিবীর সবাই পাশে থাকলেও স্বামী যদি পাশে না থাকে তাহলে সবই ফাঁকা লাগে কিন্তু কি করবো আমাদের তো কিছু করারও নেই।”

অন্যদিকে দেখা যায় শুভ কেশবকে আদৃতের সব জিনিস দেখাচ্ছে, পেন থেকে শুরু করে বই আরো কত কিছু। কেশবকে শুভ বলে, “জানিস তো তোর বাবা একজন খুব ভালো মানুষ ছিলেন, আমাকে এই বাড়িতে তোর বাবাই এনে ছিলেন। এই দেখ না এটা আমাদের ঘর এখানে তোর বাবাও থাকতেন”। এরপর শুভ একটা টেপ রেকর্ডার খুঁজে পায় সেখানে আদৃত কিছু একটা রেকর্ড করে গেছে তারপর একটা খাতায় হাতের ছাপ দিয়ে গেছে। এই সব কিছুকে বুকে আগলে শুভ ভাবে এটাই তাঁর এখন বাঁচার সম্বল। এরপর দেখা যায় শুভকে খেতে দেওয়া হয়েছে কিন্তু শুভ খাচ্ছে না। এমনকি পূরবী শুভর জন্য ওর পছন্দের পাঁপড় এনে দেয় তবুও সে কিছু খায়না।

ঠাম্মী তখন বলেন বাধ্য হয়ে, “শুভ তুই যদি না খাস তাহলে কেশবকে খাওয়াবি কি করে? ভুলে যাস না ও কিন্তু তোর আর আদৃতের শেষ স্মৃতি।” এরপর শুভ দৌড়ে আবার তাঁর ঘরে চলে যায়। আকাশের তারা দেখিয়ে সে কেশবকে bole’ “ওই দেখ তোর বাবা, জানিনা কেন ভগবান আমাদের থেকে ওকে কেড়ে নিলো” আর কাঁদতে থাকে। সবাই দুর দিতে দেখে কিন্তু কিছু করতে পারে না যাতে শুভর কষ্ট কমে। অন্যদিকে দেখা যায় কোনও এক হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে আদৃত, তাঁর সারা শরীরে ক্ষত। জ্ঞান ফিরতেই আদৃত ব্যাথায় চিৎকার করতে থাকে।

নার্সরা তাড়াতাড়ি গিয়ে ডাক্তার মহনা সেন কে ডেকে আনে। ডাক্তার আদৃতকে তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে সে কিছুই মনে করতে পারে না। আর উল্টে ডাক্তারকে জানতে চায় তার কি হয়েছে। মোহনা বলে, “আপনাকে আমরা মৃতপ্রায় অবস্থায় এক রাস্তার ধার থেকে পেয়েছি আপনার মাথার পেছনে একটা গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। কিন্তু সেখানে আপনি কতক্ষণ ছিলেন বা আপনার সাথে কি হয়েছে তা আমরা কেউ জানিনা।” পর্বটি শেষ হয়ে এখানেই। আপনাদের কি মত আদৃত কি হারিয়ে ফেলেছে তাঁর স্মৃতি? শুভকে ভুলে কিসে নতুন করে পাতবে তার সংসার?

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page