জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

আদৃত আর বেঁচে নেই, সত্যিটা জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়ল শুভ ! গৃহপ্রবেশে আজকের পর্ব রুদ্ধশ্বাস

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক গৃহপ্রবেশ (Grihoprobesh)-এ বর্তমানে দেখানো হচ্ছে শুভর মা হওয়ার জার্নি। অন্যদিকে, শুভকে জব্দ করার সব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে সেবিন্তীর। এরই মাঝে আদৃতকে ভারতে যেতে হয় একটি বড় ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য। সেখানে গিয়ে এক দুর্ঘনার মুখোমুখী হয় সে। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প।

আজকের পর্বের শুরুতেই আমরা দেখি, শুভ এবং সেবিন্তী দুজনেই আদৃতকে নিয়ে চিন্তা করছে। একদিকে সেবিন্তী ছেলের ফোন না পেয়ে আতঙ্কিত অন্যদিকে শুভ ভাবছে কাজের চাপে হয়ত আদৃত ফোন করতে পারছেনা। সেবিন্তী শুভকে বলে, “তুই ছেলেটাকে এবার না যেতে দিলেই পারতিস, আমার মনটা কেমন যেন বাজে অভ্যাস দিচ্ছে”। শুভ তখন বলে, “জানো মা, আদৃত এই ডিলটা নিয়ে অনেক দিন ধরে স্বপ্ন দেখেছে। ও সবসময় বলতো এটা করতে পারলে কোম্পানির অনেক লাভ হবে। এবার তুমিই বলো আমি কীকরে আটকাই ওকে”।

Star Jalsha, Grihoprobesh, Bengali Serial, Grihoprobesh Today Episode 19th February, স্টার জলসা, গৃহপ্রবেশ

অন্যদিকে বাড়ির সবাই চিন্তা করছে এমন সময় ল্যান্ডলাইনে একটা ফোন আসে। ঠাম্মি ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে কলকাতা পুলিশের একজন আধিকারিক বলে এটা আদৃত রায়ের বাড়ি কি না আর উনি কে। ঠাম্মির থেকে ফোনটা ঋদ্ধি নিয়ে জানতে পারে আদৃত আর বেঁচে নেই, এবং তাদের পুলিশ তাড়াতাড়ি ইন্ডিয়া আসতে বলে। আরেকদিকে পূরবী শুভকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। নিচ থেকে চিৎকার শুনে সে এবং বাকিরা যখন নিচে যায়, জানতে পারে সব ঘটনা। সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে। ঠাম্মি বলে, “এই পরিস্থিতিতে শুভকে কি করে বলবো অর স্বামী আর নেই”।

সেবিন্তীকে কোনো ঘটনা জানানো হয় না। বরং সবাই মিলে ঠিক করে সঠীক খবর পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলবে না।
তারপর ঋদ্ধি সহ বাকিরা দেশে গেলে পুলিশ তাদের আদৃতের পাসপোর্ট ও অন্যান্য জিনিস দিলে তাঁরা আরো ভেঙে পড়ে যে শেষ আশাটাও নিভে গেল। পুলিশ আদৃতের দেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। অন্যদিকে মাঝ রাতে শুভর ঘুম ভেঙে গেলে শুভ নিজের বাচ্চার সাথে আদৃতের ব্যাপারে কথা বলতে থাকে। লুকিয়ে এই সব অয়না, পূরবীরা দেখে আর ভাবে কি করে তারা শুভর সামনে দাঁড়াবে।

এরপর সবাই দেশ থেকে আদৃতের দেহ নিয়ে ফেরে। সবাই শুভকে সুন্দর করে সাজিয়ে লাল শাড়ী গয়না পড়িয়ে নিচে নিয়ে যায়। শুভ কিছু বুঝতে পারেনা কিন্তু যেই মুহুর্তে ও দেখে একটা কফিন আর তাতে আদৃতের নাম লেখা, সবটা বুঝতে পড়ে শুভ। কান্নায় ভেঙে পড়ে সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না। ঠাম্মি বলে, “শুভকে সামলাও ওর বাচ্চাটার ক্ষতি হয়ে যাবে”। কিন্তু ততক্ষণে শুভর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়।

Piya Chanda