Bangla Serial

Icche Putul: অ্যা’ক্সিডে’ন্ট হয়েছে নীলের! ঠাম্মির ফোন পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গেল মেঘ! বোনকে দায়ী করে ঢুকতে দিল না শয়তান ময়ূরী

ফিঙ্গারপ্রিন্টে ময়ূরীর নাম উঠে আসার পরই মেঘ সমস্ত সত্যি প্রমান করে বাপের বাড়ি চলে যায়। যদিও মেঘ প্রমান করে দিলেও মেঘের শ্বশুরবাড়িতে শ্বশুর ও ঠাম্মি ছাড়া কেউই মেঘের কথা বিশ্বাস করে না। তারপর নীল নিজের ভুল বুঝতে পেরে আফসোস করে। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই গল্প একটি বড় লিপ নিতে পারে। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল’। শুরু হওয়ার সাথে সাথে বড় লিপ নেওয়ার কথাও উঠেছে এই ধারাবাহিকের। দুই বোনের গল্প নিয়েই শুরু হয় এই ধারাবাহিক।

ধারাবাহিকটির প্রোমো দেখে অনেকের মনে হয়েছিল, হয়তো এই ধারাবাহিক ‘ইচ্ছেনদী’ ধারাবাহিকের কপি। যদিও পুরোটা কপি না হলেও গল্পের মধ্যে রয়েছে অনেক মিল। ধারাবাহিক শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই গল্পে লেখক এনেছেন বিয়ের ট্র্যাক। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়, তিতিক্ষা দাস এবং শ্বেতা মিশ্র। ধারাবাহিকে দুই বোনের মধ্যে বড় বোন অসুস্থ এবং ছোট বোন নিজের জীবন স্যাক্রিফাইস করে দিদিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু তারপরও বড় বোন ময়ূরী ছোট বোন মেঘকে পছন্দ করে না।

আর ছোট বোন এতদিন দিদির সব কথা মুখ বুজে সহ্য করে। পাশাপাশি এও দেখা যায়, দিদির ছোট বোনের পছন্দের ছেলেকেও বিয়ে করতে চায় সে। কিন্তু ময়ূরীর সাথে না হয়ে সৌরনীল-এর সাথে বিয়ে হয়েছে মেঘের। আর সেখান থেকে মেঘের জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তবে সকলের সামনে ময়ূরী ভালো সাজলেও সে মনে মনে রেগে আছে মেঘের উপর। আর তার জন্য সে সবসময় মেঘকে বিপদে ফেলার নানারকম ফন্দি করে চলেছে। প্রচুর ঝড় জাপটে সামলে বিদেশে হানিমুন করতে যাওয়ার প্ল্যান করে নীল।

আর তাদের হানিমুন আটকাতেই ময়ূরী মেঘের ব্যাগ থেকে বের করে দেয় মেঘের পাসপোর্ট। মেঘ ও নীল যখন বিমানে উঠতে যাবে, তখনই পাসপোর্টের অভাবে তাদের ফিরে আসতে হয়। ফিরে এসে নীল মেঘের সাথে বাজে ব্যবহার করে। নীল ভাবে মেঘ ইচ্ছা করে পাসপোর্ট লুকিয়েছে। নীলের এরূপ ব্যবহার দেখে মেঘ অবাক হয়ে যায়। এমনকি মেঘের ক্যারেক্টার নিয়েও প্রশ্ন তোলে নীল। আর তারপরই মেঘ নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য পুলিশের সাহায্য নেয়। এরপর থেকেই নীল মেঘকে বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছে। যদিও মেঘ প্রথমে রাজি হয় না।

তারপর ঠাম্মির থেকে জানতে পারে নীলের এক্সিডেন্ট হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি। মেঘ নীলকে দেখতে হাসপাতালে ছুতে আসে। কিন্তু সেখানেও মুয়ূরী গিয়ে চালাকি করে মেঘকে ভেতরে ঢুকতে দেয় না। আর নীলের এই অবস্থার জন্য মেঘকেই দায়ী করে। ময়ূরী সকলকে বলে, মেঘ বাড়িতে পুলিশ এনেছিল বলেই নীল চিন্তায় এরূপ করেছে। পাশাপাশি মেঘ নীলকে ছেড়ে চলেও যায় তাই আজ নীলের এই অবস্থা। ময়ূরীর কথা শুনে শ্বশুরবাড়ির সকলে মেঘকেই দোষারোপ করে। শেষমেশ নীলের সাথে কি মেঘ দেখা করতে পারবে?

Tolly Tales