ধারাবাহিক মানেই পজেটিভ-নেগেটিভ দুই চরিত্রের মিশ্রণ। এই দুই চরিত্র সমান তালে না থাকলে যেন গল্প এগোতেই চায় না। কারণ নেগেটিভ-পজেটিভের ঘাট-সংঘাতের ফলেই এগোয় ধারাবাহিকের পর্ব। যত বেশি চমক ততই টিআরপি বেশি। আর তাই একটি ধারাবাহিককে তার টিআরপি ধরে রাখতে প্রতিটি চরিত্রের দিকে নজর রাখতে হয়।
যেমন পজেটিভ চরিত্র নিখুঁত করতে হয় ঠিক তেমনই নেগেটিভ চরিত্রগুলোকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয় দর্শকদের মনে সেই চরিত্রগুলির প্রতি ঘৃণা তৈরী করার জন্য। আর তা সম্ভব হলেই একটি ধারাবাহিক দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পারে। তবে বর্তমানে ধারাবাহিকগুলি ভালোভাবে লক্ষ করলে এক বিশেষ মিল চোখে পড়বে।
প্রায় প্রতিটি ধারাবাহিকের একটি বিশেষ চরিত্র নেগেটিভের রোল প্লে করছে। চরিত্রটি হল ‘জা’এর চরিত্র। সে ‘রাঙা বউ’ হোক বা ‘সোহাগ জল’ কিংবা ‘নিম ফুলের মধু’ বা ‘জগদ্ধাত্রী’- সমস্ত ধারাবাহিকের নায়িকাদের জা’রা নেগেটিভ রোলই করছে। প্রতিটি জা নায়িকাদের ক্ষতি করার প্রচেষ্টায়।
ধারাবাহিকে চোখ ফেললেই কুচুটে জা-এর চরিত্র দেখা যায়। বর্তমানে ব্যতিক্রম ‘মিঠাই’। তবে আগে মিঠাই-এর সঙ্গেও বাজে ব্যবহার করত তার জা। এই প্রতিটি জা-এর চরিত্র একইরকম দেখে দর্শকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি লেখক-লেখিকারা বাস্তব চরিত্রকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে ধারাবাহিকের মাধ্যমে?
বাস্তবেও কি এমনই সম্পর্ক জা’দের সঙ্গে? জা’দের সেই বাস্তব ছবি তুলে ধরতে চেয়েছে, যাতে সকল মেয়েরাই ভবিষ্যতে জা নেই এমন বাড়িতেই বিয়ে করে, আর যারা করেছে তারা জা’দের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার টেকনিক জেনে নেয়। যদিও এগুলো সবই শুধুই কাল্পনিক কথা। আসলে ধারাবাহিকের এই জা’গুলি বেশ চমকদার পর্বের সৃষ্টি করে।