জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘অসহ্য লোক একটা! একে কেন নিল?’ চিরদিনই তুমি যে আমারে জিতুকে দেখে দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া!

জি বাংলা তাদের নতুন মেগা সিরিয়াল চিরদিনই তুমি যে আমার নিয়ে বেশ আলোচনায় এসেছে। অসমবয়সী প্রেমের গল্প নিয়ে তৈরি এই ধারাবাহিকের দ্বিতীয় প্রচার ঝলক সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে, যা দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। এই সিরিয়ালের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়, যিনি এর আগে করুণাময়ী রানী রাসমণি সিরিয়ালে রানিমার চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে অপরাজিত সিনেমাখ্যাত অভিনেতা জিতু কমলকে। দীর্ঘ চার বছর পর ছোটপর্দায় ফিরছেন তিনি, যা তাঁর ভক্তদের জন্য বড়ো চমক হয়ে এসেছে।

প্রথমদিকে, এই সিরিয়ালের নায়ক হিসেবে রাহুল মজুমদারের নাম শোনা গিয়েছিল, এবং তখন সিরিয়ালের নাম নির্ধারিত হয়েছিল তোমাকে ভালোবেসে। তবে পরে সবকিছু বদলে যায়—নায়ক পরিবর্তন হয় এবং নতুন নাম হয় চিরদিনই তুমি যে আমার। প্রথম প্রচার ঝলকে নায়কের ঝলক না থাকলেও, দ্বিতীয় প্রোমোতে জিতু কমলকে পুরোপুরি ফোকাসে রাখা হয়েছে।

সিরিয়ালের মূল কাহিনি অসমবয়সী প্রেমের গল্পকে ঘিরে আবর্তিত। প্রোমোতেই বোঝা যাচ্ছে যে দিতিপ্রিয়ার চরিত্রটি প্রাণবন্ত, চঞ্চল, অন্যদিকে জিতুর চরিত্র বেশ পরিণত এবং অভিজ্ঞতার ভারে ভারাক্রান্ত। নায়িকার সংলাপ—”আপনি না বুড়ো হয়ে গেছেন!”—এই বয়সের ব্যবধানের দিকটি স্পষ্ট করে দেয়। তবে গল্পে প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স যে বাধা হতে পারে না, সেটাই তুলে ধরা হবে।

প্রোমোর প্রকাশের পর দর্শকদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে ইতিবাচক মন্তব্য করছেন, আবার কেউ কেউ কটাক্ষও করছেন। কিছু দর্শক বলছেন, “পুরো বাবা-মেয়ে লাগছে,” আবার কেউ কেউ ‘সুগার ড্যাডি’ বলে বিদ্রুপ করছেন। তবে সিরিয়ালের অনুরাগীরা মনে করছেন, এটি শুধুমাত্র এক অসমবয়সী প্রেমের গল্প নয়, বরং পূর্ণজন্মের একটি কাহিনি, যেখানে বয়সের ফারাক ইচ্ছাকৃতভাবে দেখানো হয়েছে। এছাড়া, এই মেগা সিরিয়ালের প্রোমোর শুটিং কাশ্মীরে হয়েছে, যা বাংলা টেলিভিশনের ক্ষেত্রে বেশ ব্যতিক্রমী ঘটনা। সাধারণত বাংলা সিরিয়ালের প্রচার ঝলকের জন্য এত বড়ো বাজেট বরাদ্দ করা হয় না, কিন্তু চিরদিনই তুমি যে আমার সেই ধারা ভেঙেছে। এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তের জন্য দর্শক ও ইন্ডাস্ট্রির মানুষজনও প্রশংসা করেছেন।

দিতিপ্রিয়া এবং জিতুর বাস্তব জীবনের বয়সের ব্যবধানও কম নয়। ২০০২ সালের অগস্ট মাসে জন্ম হওয়া দিতিপ্রিয়ার বর্তমান বয়স ২২ বছর, আর ১৯৮৭ সালের অগস্টে জন্ম নেওয়া জিতু বর্তমানে ৩৭-এর কোঠায়। অর্থাৎ তাঁদের বয়সের ফারাক প্রায় ১৫ বছর। যদিও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে এটি নতুন কিছু নয়—বহু জনপ্রিয় সিরিয়ালেই নায়ক-নায়িকার মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১৫ বছরের কাছাকাছি বা তার চেয়েও বেশি থেকেছে।

তবে ট্রেন্ডিং তালিকায় এখন সিরিয়ালের প্রচার ঝলক। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এটি ফেসবুকে প্রায় ৩ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে, যা স্পষ্ট করে যে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এই মাসেই শুরু হতে চলেছে সিরিয়ালটি। নিম ফুলের মধু বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফেব্রুয়ারিতে, ফলে জি বাংলার এই নতুন মেগা কোন স্লটে সম্প্রচারিত হবে, তা দেখার অপেক্ষা।

Piya Chanda