প্রতিটি সিরিয়ালে দুটো চরিত্র থাকে যারা একে অপরের বিপরীত। তাদের বলা হয় মুখ্য চরিত্র আর ভিলেন। ভিলেন হিসেবে খলনায়ক বা খলনায়িকা দুইরকম দেখা যায় সিরিয়ালে। যখন যেখানে গল্পের যেমন প্রয়োজন তখন তেমন চরিত্র ঢোকানো হয়। কারণ ভিলেনের খেল আর তার খেলা শেষ হওয়ার নাটকীয়তায় গল্প জমজমাট হয়।
এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে যে কয়টি সিরিয়াল চলছে তাতে সব ক্ষেত্রেই একাধিক ভিলেন। তার মধ্যেও কিছু ভিলেন নাম করে ফেলেছে খুব কম সময়ের মধ্যেই। যাকে নিয়ে কথা বলছি এই নায়িকা তেমনই এক ভিলেন।
জি বাংলার এই সিরিয়ালের নাম ইচ্ছে পুতুল। দুই বোনের গল্প। বড় দিদি বোনকে সহ্য করতে পারে না কিন্তু বাঁচতে হলে তার শুধু সেই ছোট বোনের রক্তই প্রয়োজন। মেঘ আর ময়ূরীর গল্প শুরু থেকেই একটু আলাদা। সাপে নেউলে হলেও যে অবিচ্ছেদ্য টান দেখানো হচ্ছে সেটা আগে হয়নি। আর ছোট বোনকে মা আর বড় বোনকে বাবা ঠিকভবে গ্রহণ করতে পারে না। তাই বোনের ঝগড়ার সঙ্গে চলতে থাকে পারিবারিক ঝগড়া।
এই মুহূর্তে গল্পে মেঘের বিয়ে নিয়ে নতুন মোড় এসেছে। যার সঙ্গে দিদির বিয়ে হওয়ার কথা সেই পাত্রই বেছে নেয় মেঘকে। এরপর থেকেই ময়ূরীর রূপ বেরিয়ে আর। বোনের সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তাকে পদে পদে বিপদে ফেলে। এখন আবার সৌরনীলের ঠাকুমাকেও মেরে ফেলে সেই দোষ বোনের উপর দিতে চাইছে।
তবে গল্পের বাঁধন জমাটি হলেও টিআরপি নেই। তার উপর দিদির বদমাইশি সহ্য হচ্ছে না দর্শকদের। এরই মধ্যে ময়ূরী চরিত্রের নায়িকা শ্বেতা মিশ্র পেলো বড় সুযোগ। সিরিয়ালের বাইরেও দেখা গেলো নতুন রূপে। ‘ধুলোকণা’র চড়ুই বলুন কিংবা ‘ইচ্ছে পুতুলে’র ময়ূরী, বাংলা সিরিয়ালের খলনায়িকা হিসেবে বেশ নামডাক হয়েছে তার।
সদ্য জি ফাইভে মুক্তি পেয়েছে ‘মিসেস আন্ডারকভার’ নামের একটি ছবি। তাতে নতুন রূপে শ্বেতা। রাধিকা আপ্তের সঙ্গে একটি বাংলাদেশি মেয়ের ভূমিকাতে অভিনয় করলেন তিনি। তিনি এবং মেয়েবেলা সিরিয়ালের “টিকলি” শ্রেয়া রাধিকা আপ্তের সঙ্গে একজন সিরিয়াল কিলারকে ধরা এবং শাস্তি দেওয়ার কাজ করেছেন।