এই মুহূর্তে জি বাংলা নয়, গোটা বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মিঠাই। টানা ৩ বছর ধরে ৮০০ এপিসোড, বলা যায় এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় আক্ষরিক অর্থেই মেগা হওয়ার খেতাব অর্জন করেছে মিঠাই আর উচ্ছে বাবুর গল্প। সেই সঙ্গে জুটেছে মোদক পরিবারের সদস্যরা। মিঠাই আর উচ্ছে বাবুর পাশাপাশি এই হল্লা পার্টি মাতিয়ে রেখেছে দর্শকদের।
৩ বছর ধরে একসঙ্গে শুট করার দরুন এই পরিবার একটা আলাদা পরিবারের মতোই হয়ে গেছে এটা বলা যায়। শ্রী, তোর্সা, মিঠাই, নীপা, নন্দা সবার অনস্ক্রিন এবং অফস্ক্রিন সম্পর্ক যে কতটা ভালো সেটা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও বর্তমানে কৌশাম্বি আর সৌমীতৃষার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
কৌশাম্বির সঙ্গে এখন শ্রী, তোর্সা, মিঠাই, নীপা সকলেই একটু দূরত্ব বজায় রেখে চলে। কারণ শুটিং এর বাইরে এদেরকে যতটা একসঙ্গে দেখা যায় ততটা নন্দার সঙ্গে এদের দেখা যায় না। শ্রী অর্থাৎ দিয়া মুখার্জি, নীপা অর্থাৎ ঐন্দ্রিলা সাহা, তোর্সা অর্থাৎ তন্বী লাহা রায় এবং মিঠাই অর্থাৎ সৌমীতৃষা কুণ্ডু এদের কেমিস্ট্রি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই।
মাঝে মাঝেই শুটিংয়ের ফাঁকে বা ছুটির দিনে দেখা যায় এদের আড্ডা দিতে। সেই ছবি আবার ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। এবারেও কিছু ছবি ভাইরাল। তাতে দেখা গেলো মিঠাই শুটিংয়ের লুকেই আছে। কপালে লাল টিপ, মাথায় সিঁদুর আর তার পরনে স্লিভলেস টপ। পোশাকে যদিও বেমানান লাগছে তাকে তবে সেদিকে নজর না দিয়ে আসল বিষয়ে আসা যাক।
হ্যাঁ, এই ছবিতেই উঠেছে নতুন জল্পনা যে শ্রী অর্থাৎ দিয়া মুখার্জি, নীপা অর্থাৎ ঐন্দ্রিলা সাহা এবং মিঠাই অর্থাৎ সৌমীতৃষা কুণ্ডু এদের মধ্যে কেউ একজন প্রেম করছে। প্রেমিক আবার বিদেশি এক্কেবারে তুর্কির লোক। আর এই জল্পনা উস্কে দিয়েছে তোর্সা অর্থাৎ তন্বীর একটি কমেন্ট।
আসলে ছবিতে সে উপস্থিত নেই। তাই তাকে সবাই মিস করছে সেটা লিখেছে। আর তোর্সা আবার প্রশ্ন করেছে “ফটোগ্রাফারটা কি তুর্কিশ?” এটা ঠিক কার উদ্দেশ্যে করা প্রশ্ন সেটা বোঝা যাচ্ছে না। দিয়া উত্তরে আবার লিখেছে সে “পুরো বাঙালি”। তাহলে কি এই বিদেশি থুড়ি বাঙালি বাবুতেই মন মজেছে মিঠাই রানীর?