জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagadhatri)। বর্তমানে সিরিয়ালের ধামাকাদার পর্ব চলছে। কোম্পানিতে কৌশিকীর জায়গা কে পাবে তাই নিয়ে চলছে মুখার্জি বাড়িতে বিবাদ। বৈদেহী এতদিন চেয়ে এসেছে যেকরে হোক উৎসব জায়গা পাক। কিন্তু কৌশিকী চায় সঠিক উত্তরসূরি পাক এই অধিকার। আর তাই সে জগদ্ধাত্রীকে তার চেয়ার ছেড়ে দেয় কৌশিকী। কোম্পানির অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য একের পর এক ছক কষে যাচ্ছিল বৈদেহী, মেহেন্দি ও উৎসব।
স্বয়ম্ভুর এন্ট্রি
সম্প্রতি বাড়ির সকলকে চমকে দিয়ে উৎসব জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে বাড়িতে ফেরে। উৎসবকে দেখে রাজনাথ, বৈদেহী, মেহেন্দি সহ সকলেই অবাক হয়। যদিও কৌশিকী আগেই সবটা জানত। অন্যদিকে রাজনাথ নিজের ছেলেকে দেখে খুশিতে আত্মহারা। বৈদেহীও বাইরে থেকে নিজেকে খুশি দেখালেও ভেতরে ভেতরে হাত মিলিয়েছে মেহেন্দির সঙ্গে। উৎসবকে কোম্পানির অধিকার পাইয়ে দিতে নতুন ছক কষছে সে। অন্যদিকে, কৌশিকী এবার সব ভুয়ো তথ্য প্রমান করে মেহেন্দীকে অফিস থেকে বের করে দেবে বলে ঠিক করে। আসল পেপারগুলো দেখিয়ে মেহেন্দীকে কোম্পানির জায়গা থেকে সরিয়ে দেবে কৌশিকী।
জগদ্ধার্থীর পাতা ফাঁদে তুষার তীর্থ
তুষার তীর্থকে ফাঁদে ফেলার জন্য জগদ্ধাত্রী নতুন ছক কষে। দিভিয়াকে বলে, তুষারের সঙ্গে নাটক করে তিন্নির ছবিগুলি নিয়ে নিতে। যেহেতু দিভিয়া সেনের সঙ্গে তুষার তীর্থের একটি সম্পর্ক ছিল, তাই সেই সম্পর্কের জেরে এই নাটক করতে বলা হয় দিভিয়াকে। কিন্তু দিভিয়া এই নাটক করতে একেবারেই রাজি হয় না। এবার তাই জগদ্ধার্থী ও কৌশিকী দিভিয়া ও তুষার তীর্থের সমস্ত কুকর্মের কথা নিউজ পেপারে ছাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পাশাপাশি দিভিয়া সেনের স্বামীর কথাও সংবাদপত্রে ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলে।
পেনড্রাইভের হদিস দিল জিকে
তখন দিভিয়া আর কোনও উপায় না পেয়ে জগদ্ধাত্রীর কথায় রাজি হয়ে যায়। এরপর দিভিয়া তুষার তীর্থের সঙ্গে নাটক করে সেই ছবিগুলো উদ্ধার করে। আর তারপরই জগদ্ধাত্রী সেখানে এসে দিভিয়ার পর্দা ফাঁস করে তুষারের সামনে। পাশাপাশি জিকে-কে চাপ দিল জগদ্ধাত্রী। সত্যি কথা বোলানোর জন্য তাকে থানায় তুলে নিয়ে যেতে চাইলে জিকে ভয় পেয়ে ছবি গুলি কথায় আছে সব বলে দেয়। এবার সেই পেনড্রাইভের খবর পেয়ে জগদ্ধাত্রী রওনা হয় পেনড্রাইভ খুঁজতে।
মেহেন্দির ষড়যন্ত্র ফাঁস
অন্যদিকে মেহেন্দি কোম্পানি নিজের নামে করার জন্য কৌশিকীকে তাড়ানোর ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আর সেই কাজে যুক্ত রয়েছে বৈদেহীও। তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে জগদ্ধাত্রী। আর তাই এবার সে মেহেন্দিকে সাবধান করে। সে বলে, কৌশিকী আমার থেকেও অনেকবেশি চালাক। তাকে তাড়ানো এতো সহজ নয়। তাই সেই কাজটা সে যেন করার কথাও না ভাবে। কোষিকীকে কোম্পানি ও বাড়ি থেকে কেউ তাড়াতে পারবে না। আমরা দেখেছি, কৌশীকিকে তাড়াতে তার বিয়ের সম্বন্ধ দেখতে শুরু করেছে। আর সেই ষড়যন্ত্রের কথা জগদ্ধাত্রী নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।