Bangla Serial

জগদ্ধাত্রীতে ধামাকা!রাজনাথের সামনে উৎসব, মেহেন্দি এবং বৈদেহীর মুখোশ খুলে শ’য়’তা’ন’দে’র বেয়াব্রু করল কৌশিকী

জি বাংলার (Zee Bangla) সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রীতে (Jagaddhatri) একের পর এক আসছে চমক। কৌশিকী মুখার্জী এবং জ্যাস সান্যালের হাই ভোল্টেজ ড্রামা দর্শকদের মন কাড়ছে। সম্প্রতি কৌশিকী মুখার্জী এবং জগদ্ধাত্রীর ওপর হামলা চালায় উৎসব, দেবুদা, দিভিয়া সেন এবং মন্ত্রী তুষারতীর্থ তলাপাত্র। সেই কুকর্মের সন্ধান ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছে জগদ্ধাত্রী। স্বয়ম্ভু এবং জগদ্ধাত্রী তদন্ত করে জানতে পেরেছে তাদের মারার জন্য উৎসবই দেবুদার ভাড়া করা গুঁড়া বাদল কাঠাল ওরফে বাকাকে রাজনাথ মুখার্জী নাম করে টাকা নিয়ে এসেছিল।

তবে স্বয়ম্ভু রাজনাথ মুখার্জী কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি বারণ করে দেন। আজকের পর্বে দেখা যাবে রাজনাথ মুখার্জীর কাছে এসেছে সমরেশ চট্টোপাধ্যায় কাঁকনের খোঁজ নিতে। কিন্তু তিনি তাকে কোনও উত্তর দেবে না বলে জানিয়ে দেন রাজনাথ। তখনই উৎসব ওখানে আসে এবং খুব খারাপ ব্যবহার করে সমরেশের সাথে। কিন্তু তবুও সমরেশ কাঁকন কোথায় আছে জানতে চায় তাদের কাছে তখন সেখানে আসেন বৈদেহী মুখার্জী।

তিনি আসেই সমরেশকে বলেন তার এই বাড়িতে আসার কোনও অধিকার নেই। এখন এখানে কৌশিকী বা কাঁকন কেউ থাকে না তাই সেও এই বাড়িতে আসতে পারবে না। রাজনাথ মুখার্জিও বলে ওঠেন যে কাঁকনের কোনও অধিকার কোনও দিনও তার ছিল না তাই এখনও তিনি কিছু বলেন না, তখনই কেন আসতে পারবে না জানতে চান কৌশিকী বাবা দিবানাথ মুখার্জী তিনি বলেন যে সমরেশের তার মেয়ে কাঁকনের খোঁজ নেবার পুরো অধিকার কাছে, সে সেটা জানতে চাইতেই পারে। তখন উৎসব বলে কাঁকন যে হোস্টেলে আছে ভালো আছে ব্যাস এইবলে উৎসব সমরেশকে ধাক্কা মেরে মুখার্জী বাড়ি থেকে বের করে দেন।

মেহেন্দি উৎসবকে এসব নিয়ে ভাবতে বারণ করে এবং রাজনাথ মুখার্জীকে জিজ্ঞাসা করে যে এক সপ্তাহ পর তারা অফিসের মালিক হবে, তাতে তিনি রাজি কিনা, তখন রাজনাথ মুখার্জী বলেন আমি রাজি, আমি আমার ছেলে, বউকে মালিক হিসেবেই দেখতে চাই। তারপরই তার কাছে ফোন করে কৌশিকী মুখার্জী এবং বলেন তিনি তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং জানান যে মেহেন্দি এবং উৎসব অফিস থেকে অনেক টাকা নয়ছয় করেছে, রাজনাথ যেন তাদের সামলান নাহলে তাকে হাল ধরতে হবে, এই শুনে রাজনাথ তাকে কে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেননা।

রাজনাথ কৌশিকর কথা শুনে উৎসব এবং মেহেন্দি কত টাকা নিয়েছে তার ফাইল আনতে বলে। ওদিকে কৌশিকীকে ফোন করে দারোয়ান লক্ষণ বলে সমরেশের আসার কথা এবং যা যা হয়েছে, কৌশিকী তাকে হুশিয়ার করে বলেন তার নজর সব সময় লক্ষণের ওপর আছে। তারপর তিনি কাঁকনকে বাবা সাথে দেখা করতে এবং বাড়ি যাবার জন্য তৈরি হতে বলে কিন্তু সে জানে কোনও কথা তাদের না বলে এবং কৌশিকী ভাবতে থাকে কীকরে সে উৎসবকে শাস্তি দেবে। ওদিকে সমরেশ বাড়ি আসে তার দাদাদের সব বলে। তার বৌদিরা মুখার্জী বাড়ির বদনাম করলে বড়দা থামিয়ে বলে এখন তাদের উকিল ঠিক করতে হবে, কাঁকনকে বাঁচাতে হবে।

তো কি মনে হয় আপনাদের কাঁকন মুখার্জী বাড়ি ফিরলে কি করবে উৎসব, কি করে শাস্তি দেবে কৌশিকী তাদের।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী।