Connect with us

    Bangla Serial

    Indrani Paul: পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি, সেখান থেকে চার বছরেই বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় নায়িকা! ‘বাড়ি ফিরে রোজ কাঁদতাম’, ইন্দ্রাণী পালের কষ্টের জীবনের কথা জানলে চোখে জল আসবে আপনারও

    Published

    on

    দুদিন হয়েছে শুরু হল স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক নবাব নন্দিনী এবং এর মধ্যেই কিন্তু দর্শক বেশ ভালোবেসে ফেলেছেন এই ধারাবাহিককে। নবাব আর নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করছেন রিজওয়ান রাব্বানী শেখ ও ইন্দ্রানী পাল।একদম নতুন এই জুটিকে মানুষ খুব ভালোবেসে ফেলেছে তার কারণ তাদের দুজনের অভিনয় দক্ষতা এবং ভেতরের বন্ডিংটা খুব সুন্দর।

    Nabab Nandini: ফুটবলার এবং হার না মানা মেয়ের প্রেম, রিজওয়ান-ইন্দ্রানী  আসছেন 'নবাব নন্দিনী'তে – News18 Bangla

    এর আগে আপনাদের এক্সক্লুসিভলি জানিয়েছিলাম নবাব নন্দিনী সম্পর্কে অনেক কথা তবে এবার একটা খবর আপনাদের জানানো যাক যেখানে আপনারা জানবেন যে ইন্দ্রাণীর জীবনের কষ্টের কথা। আপনারা সকলে কি জানেন ইন্দ্রানী পাল আসলে একজন ইঞ্জিনিয়ার? তিনি কিন্তু বাস্তব জীবনে একজন বি টেক পাশ পড়ুয়া। তার বাড়ি পুরুলিয়ায়।

    নিজের সিরিয়ালের কাজকে খুব ভালবাসেন ইন্দ্রানী তাই প্রথম ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরে তিনি কিন্তু বেশিদিন অপেক্ষা করতে চাননি।তার দক্ষতার জন্য এবং তার মিষ্টি ব্যবহার তাকে দ্বিতীয় কাজের সুযোগ এনে দিয়েছে খুব জলদি। নবাব নন্দিনী স্ক্রিপ্ট শোনার পরেই তার ভীষণ পছন্দ হয়েছিল আর সঙ্গে সঙ্গে তিনি হ্যাঁ বলে দিয়েছিলেন।

    পুরুলিয়ার বাইরে তিনি আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত কোনদিনও পা রাখেননি। তবে ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন অভিনেত্রী হওয়ার, এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন বলে কলকাতায় আসেন। এখানে এসে যেন অভিনেত্রী হওয়ার জেদটা আরো চেপে বসে মনের মধ্যে। তবে ইন্দ্রাণীর বাবা কিন্তু চাইতেন না যে পুরুলিয়ার বাইরে বেরিয়ে মেয়ে কোন কাজ করুক, ঠিক যেন নন্দিনীর বাবার মতই।

    তবে কলকাতা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়ই তিনি অভিনয়ের দিকে মন দেন এবং এই চার বছরের মধ্যেই তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তোলেন পড়াশোনা করার পাশাপাশি। অল্প দিনের মধ্যে সুযোগও পেয়ে যান। প্রথমে তার বাড়ির লোকেরা রেগে গেলেও পরবর্তীকালে টিভিতে যখন তার সুন্দর অভিনয় দেখতে পারি তখন তারা মেয়ের জন্য গর্বিতই হন। এখন পুরুলিয়ায় ইন্দ্রাণীর বাবা মাকে সকলেই এক ডাকে চেনে।

    বাড়ির সকলকে ছেড়ে প্রথম প্রথম কলকাতায় একা থাকতে তার খুব কষ্ট হতো। বাজার করা থেকে বাড়ি পরিষ্কার, রান্না সব কিছু একা হাতে করতেন তিনি। এক এক সময় রাত্রিবেলা তিনি কাঁদতেন বাড়ির সকলকে খুব মিস করতেন বলে। তবে এখন তিনি অনেকটাই পরিণত হয়ে গেছেন আর বাবা-মা তো কলকাতা আসেই।