জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পাড়ার সব পুরুষরাই পরকীয়া আসক্ত! চন্দনের কাছে ঠকে তাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিপাশার!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথার (Kar Kache Koi Moner Kotha) গল্পে চলে এসেছে দারুন চমক। হাসপাতাল থেকে আসেই পরের দিন বিপাশাকে সবটা বলে দিয়েছেন শিমুল। আসলে পরেরদিন বিপাশা চন্দনের থেকে শোনে শিমুল তার নামে হয়তো খারাপ কথা বলবে। চন্দন বিপাশাকে এও বলে শিমুল পরাগ আর শতদ্রু দুজনকেই ঠকাচ্ছে। সে নিজে সুখী হতে পারেনি বলে এখন তাদের সম্পর্ক ভাগতে চাইছে।তাই সেটা শুনেই সকালেই শিমুলকে সে চন্দনের বিষয়ে কি বলতে চাইছে জিজ্ঞাসা করে বিপাশা।

শিমুল প্রথমে তাকে কিছু বলতে চাইনি কিন্তু বিপাশা বারবার তাকে জড়াজড়ি করায় সে বিপাশাকে বলে চন্দন আরেকটা বিয়ে করেছে। তবে শুধু বিয়েই নয় তাদের একটা সন্তানও আছে। সেটা শুনেই শিমুলকে এটা চড় মারে বিপাশা। সে বলে শিমুল মিথ্যে কথা বলছে। তার নিজের বিয়ে টেকেনি বলে সে আজ তার বিয়েও ভাবতে চাইছে। সেটা শুনেই শীর্ষা বলে বিপাশার শিমুলকে চড় মারা উচিত হয়নি কারণ সে সত্যিই বলছে। তখন বিপাশা সুচরিতাকে জিজ্ঞাসা করে “সুচরিতাদি তুমি তো আমাদের সকলের থেকে বড়। তোমাকে সবসময় নিজের দিদি ভেবে এসেছি আমি তুমি বলেনা এইসব কি?”

তখন সুচরিতা বলেন “খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি। এই আমার ক্ষেত্রেই দেখ। আমার স্বামী আমায় কখনও ভালোবাসেনি, কখনই নিজের করে, আপন করে নেয়নি কিন্তু দেখ কি অদ্ভুত, ও যাওয়ার কিছুদিন আগে আমাদের মধ্যে সবটা ঠিক হয়ে গেছিল। আমায় ভালোবাসত, খেয়াল রাখত মাঝে মাঝে ভাবি ও আমার কাছে ফিরে না আসলেই ভালো হতো আমি এটা ভেবেই ভালো থাকতাম ও আমায় ভালোবাসে না। কিন্তু এখন দেখ সবটা কেমন হয়ে গেছে।” শিমুল তখন বিপাশাকে বলে “আমি জানি বিপাশা দি তোমার কষ্ট হচ্ছে কিন্তু সত্যিটাকে তো আর বদলানো যাবে না।”

শিমুল এও বলে “আমার হয়তো মনে হয় চন্দনটা সন্তানের জন্যই অন্য সম্পর্কে গেছে কিন্তু যে কারণেই হোক। সেটা তো তোমাকে ঠকানোই হল বলো। সেটা ভুল সেটাতো ভুলই। সবটা শুনেই থমকে যায় বিপাশা সে বলে সে আজ নিজেই কথা বলবে চন্দনের সঙ্গে। কিন্তু বিপাশা চলে যাওয়ার পর শিমুল ভাবতে থাকে “চন্দনদা কি সব সত্যি স্বীকার করবে। করলে তো আগে নিজেই বলে দিত। না কিছু একটা করবে হবে।” ওদিকে চন্দন আসার পর তাকে জিজ্ঞাসা করে বিপাশা, বলে সে সম্পর্কে আছে অন্য মেয়ের সঙ্গে। সে কথা শুনে প্রথমে চমকে যায় চন্দন।

কিন্তু পরে নিজেকে সামলে বলে শিমুল বিপাশাকে মিথ্যে বুঝিয়েছে। সে বিপাশাকে এইসব বলেছে তাদের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য। চন্দন এও বলে শিমুল আবার পরাগের কাছেই ফিরে যাবে আর শুধু শুধু শতদ্রুর জীবনটা সে নষ্ট করবে। তখন বিপাশা বলে “সেটা শিমুলের ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু সুচরিতাদিরাও বলছে যে তিনি আমায় ঠকাচ্ছ।” তখন চন্দন বলে তারা মিথ্যে বলছে সে এখনও বিপাশাকে ভালোবাসে। এই বলতে বলতে সে জড়িয়ে ধরতে যায় বিপাশাকে কিন্তু বিপাশা তাকে ভালো লাগছে না বলে দূরে সরিয়ে দেয়। সে বলে সে নিজে খোঁজ নেবে। সেটা শুনেই চমকে যায় চন্দন।

আরো পড়ুন: নিম ফুলে বিরাট চমক! বর্ষাকে পেয়ে পর্ণার কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে আপন করে নিল কুচুটে শাশুড়ি কৃষ্ণা

সে বিপাশাকে বারণ করে কিন্তু বিপাশার বলে সকলেই তার নামে মিথ্যা বলেছে এটা সে প্রণাম করে দেবে। চন্দনও সে কথা শুনে ভাবতে থাকে মধুরিমা আর মেয়েটাকে সেই জায়গা থেকে সরাতে হবে কিছুতেই তাদের কথা সকলের সামনে আসতে দেওয়া যাবে না। বিপাশা চন্দনকে বলে শুয়ে পড়তে সে পরে ঘুমাবে। চন্দন তাকে ঘুমাতে বললেও সে রাজি হয়না আর ভাবতে থাকে “কিছু একটা ব্যাপার আছে। তাহলে কি সত্যি চন্দন মিথ্যে বলছে। আমায় সবটা জানতেই হবে।” তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি চন্দনের সত্যিটা আসবে বিপাশার সামনে নাকি সবটাই ধামাচাপা দিয়ে দেবে চন্দন।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।