সাধারণত নায়ক নায়িকার একটু রোমান্টিক দৃশ্য দেখার জন্য পাগল হয়ে যান ভক্তরা। সিরিয়াল নির্মাতাদের অনেক ভেবেচিন্তে এইরকম দৃশ্য বানাতে হয় কারণ আট থেকে আশি সকলেই সিরিয়াল দেখেন তাই একজন কুড়ি বছরের মানুষের যে রোমান্টিক দৃশ্য ভালো লাগবে সেটা একজন ৭০ বছরের মহিলার হয়তো অশালীন লাগতেই পারে। সেজন্য খুব ভাবনা চিন্তা করে সব ঠিক বজায় রেখে একান্ত দৃশ্য দেখানো হয় সিরিয়ালে। মিঠাই ভক্তরা যেমন সিধাই মোমেন্ট দেখার জন্য পাগলামো করেন সেরকম আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয় ভক্তরা আবার সার্মি মোমেন্টস দেখবেন বলে বারংবার অনুরোধ করেন নির্মাতাদের।
গতকাল যে এপিসোড দেখানো হয়েছে তাতে সবার সমস্ত আবদার মিটে গেছে।সত্যি কথা বলতে এখনো পর্যন্ত বোধহয় বাংলার সাম্প্রতিক সিরিয়াল গুলোর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের মধ্যে অন্যতম সাহসী দৃশ্য গতকাল দেখানো হয়েছে আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়ে।এখানে টুকাইবাবু আর উর্মির একান্ত যে রোমান্স গুলো দেখানো হয়েছে তা দেখে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে সকলে।
সাত্যকি উর্মির কোমরের আঁচল খুলে দিচ্ছে, কানের দুল হার খুলে দিচ্ছে, গলায় আদর করছে এসব নিজের চোখে দেখতে হয়েছে সমস্ত ভক্তদের। লজ্জায় চোখ হাত দিয়ে ঢাকতে হয়েছে অল্পবয়সি ভক্তদের কারণ পাশে বসে বাবা মারাও অস্বস্তি বোধ করছেন তখন। তবে বেজায় খুশি তারা।
আপাতত এক মাস তারা অন্তত কোন সার্মি মোমেন্টস দাবি করবেন না আশা করা যাচ্ছে কারণ কালকে যা ডোজ দিয়ে দিয়েছে ক্রেজি আইডিয়াস মিডিয়া তাতে পাগল ভক্তরা এখন শান্তই থাকবে।সত্যি কথা বলতে দৃশ্যগুলো দেখতে একেবারে খারাপ লাগছিল না। হয়তো একটু প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু ধারাবাহিকের সঙ্গে মানিয়ে গেছিল।