জি বাংলায় (Zee Bangla) সম্প্রচারিত এই মুহূর্তের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম অবশ্যই কার কাছে কই মনের কথা (Kar kache koi moner kotha)। এই ধারাবাহিকের এপিসোড গুলি এতটাই জমে উঠেছে যে, এই মুহূর্তে টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচে স্থান রাজত্ব করছে এই মেগা।
নামিদামি সব তারকার সমাহার এই ধারাবাহিকে। সবার অভিনয়ই অত্যন্ত ভালো, দুরন্ত। আর সেই কারণেই গল্প এবং অভিনয়ের দারুণ সংমিশ্রণে এই ধারাবাহিকটি যে এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকদের মনোরঞ্জন দারুণভাবে করে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। আর সেই কারণেই এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা।
যে শাশুড়ি আগে শিমুলকে দুচোখে সহ্য করতে পারতো না সেই শাশুড়িই এখন শিমুলের সবথেকে বড় ঢাল। এই প্রথমবারের মতো জীবনটাকে জীবনের মতো করে উপভোগ করছেন তারা। সমস্ত রকমের প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন তারা একসঙ্গে।
ইতিমধ্যেই এই ধারাবাহিকের দর্শকরা দেখেছেন পলাশের বুদ্ধিতে ইচ্ছাকৃতভাবে দরজায় তালা মেরে চাবি নিয়ে অফিস চলে যায় পরাগ। তারা চেয়েছিল শিমুল , তাঁদের মা এবং দিদি যেন সারাদিন কিচ্ছু না খেতে পায়। আর ঠিক তেমনটাই হয়। তাই এবার শিমুলের বুদ্ধিতে মধুবালাও বেশ আচ্ছা করে শিক্ষা দিয়েছে তার দুই ছেলেকে।
তারা নিজেরা রান্না করে কিন্তু ছেলেদের না দিয়েই নিজেরা খেতে বসে যায়। পরাগ-পলাশ এসে যখন দেখতে পায় তাদের জন্য খাবার নেই তখন আবার ঝামেলা করা শুরু করে। তখন মধুবালার কথা শুনে অবাক হয়ে যায় শিমুল। মধুবালা বলে তার ছেলেরা একবারও ভাবেনি, তার অসুস্থ দিদি, বুড়িমা টা সকাল থেকে খায়নি কী খাবে। বাড়ির বউ বাইরে বসে রয়েছে লোকে কী ভাববে? সব ভালোবাসা সব দায়িত্ব কর্তব্য একা মায়ের? ছেলেদের কোন দায়িত্ব নেই? তারা যখন মায়ের কথা ভাবিনি, তাই মাও তাদের কথা ভাববে না। আর মধুবালার মুখে এই কথা শুনে চমকে উঠেছে শিমুল।