তিনি বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় অপরিহার্য এক অভিনেত্রী (Actress) । অসম্ভব প্রতিভাময়ী তিনি। তবে শুধুমাত্র ধারাবাহিক নয় ওয়েব সিরিজ, সিনেমা সব ক্ষেত্রেই নিজের অভিনয়ের বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি জি বাংলার (Zee Bangla ) পর্দায় কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকে শিমুলের চরিত্রে তার অভিনয় আলাদাভাবে নজর কেড়েছে দর্শকদের।
বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে। স্টার জলসার পর্দায় বউ কথা কও ধারাবাহিক দিয়ে তার সফল পদচারনা হয়েছিল ধারাবাহিকের দুনিয়ায়। বলা যায় বাংলা টেলিভিশনের তারকা ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বহু ধারাবাহিকে দেখা মিলেছে তার। কার কাছে কই মনের কথার আগে স্টার জলসার পর্দায় ধূলোকনা ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি।
কয়েক মাসের মধ্যেই কার কাছে কই মনের কথা নিয়ে ফিরে আসেন এই অভিনেত্রী। তবে এবার তার সঙ্গী আরও চারজন জাঁদরেল অভিনেত্রী। স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রীরা রয়েছেন তার সঙ্গে। যদিও মূল নায়িকা চরিত্রে রয়েছেন মানালি। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ইস্তক অত্যাচারিত হওয়া এক মেয়ের গল্প তুলে ধরা হচ্ছে এই ধারাবাহিকে। তবে সেই অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করছে না নায়িকা শিমুল।
তার প্রতিবাদী সত্ত্বা, সাহসী চরিত্র দেখে ভালো লাগছে দর্শকদের। বাস্তব জীবনেও কি এমনই প্রতিবাদী মানালি? এই বিষয়ে অভিনেত্রীর মন্তব্য তিনি স্পষ্টবাদী যেখানে যা বলার তিনি সেটা বলেন। কারোর মন জুগিয়ে চলা তার ধাতে নেই। অভিনেত্রী বলেন, আমি নিজেও মনের মধ্যে কোনও কথা চেপে রাখি না। যেটা সঠিক মনে হয় সেটাই বলে দিই। কোন কিছু লুকিয়ে রাখি না।
আর কটাক্ষ? সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা অ্যাকটিভ নন তিনি। আর তাই তাকে ঘিরে চলা ট্রোলিং, কটাক্ষের যে তিনি সবসময় জবাব দেন এমনটা একেবারেই নয় বরং অনেকাংশে তিনি পাত্তা করেন না। এই বিষয়ে অভিনেত্রী স্পষ্ট মন্তব্য কটাক্ষকারীদের জবাব দিতে তার রুচিতে বাধে। তার মতে যাদের যেরকম শিক্ষা। তাদের শিক্ষায় তারা কটাক্ষ করেন। কিন্তু তার শিক্ষা তার রুচিবোধ তাকে সেই কটাক্ষকারীদের জবাব দিতে বাধা দেয়।
আরো পড়ুন: গৌরীর থেকে বেশি টিআরপি পেয়ে শেষ হল মুকুট! বেঙ্গল টপার কে? ফুলকি এবার কোথায়?
অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর দুটো বিয়ে নিয়ে কটু মন্তব্য করেন। গায়ক সপ্তকের সঙ্গে প্রথমে বিয়ে হয়েছিল মানালির। অত্যন্ত অল্প বয়সের সেই বিয়ে হয় তার। পরবর্তীতে পরিচালক অভিমন্যুকে বিয়ে করেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, আমি মধ্যবিত্ত মানসিকতায় বড় হয়েছি, ভাঙতে নয়, গড়তেই শিখেছি। কিন্তু দুটো ভালো মানুষও সবসময় এক থাকতে পারবে সেটা হয় না। আমিও পারিনি অনেক কঠিন সময় পার করেছি কিন্তু বাইরের মানুষ আমার সেই জীবনটা সম্পর্কে জানেন না। তাই তাদের অধিকার নেই আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলার। তিনি পজেটিভ মন্তব্যকারীদের মন্তব্যকে সাদরে গ্রহণ করেন। এবং সেই সমস্ত মন্তব্যই তাকে পরের দিনের কাজ করতে আরও খানিকটা এনার্জি দেয় বলে জানিয়েছেন তিনি।