ধামাকাদার এই মুহূর্তে ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) ধারাবাহিক। জি বাংলার (Zee Bangla ) পর্দায় চলা এই ধারাবাহিকটি প্রতিটা মুহূর্তে দর্শকদের মনোরঞ্জন করছে। এই ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি পর্ব এখন এতটাই উত্তেজনায় টইটুম্বুর যে বিকেল হলেই দর্শকরা টিভি চালিয়ে বসে পড়ছেন এই ধারাবাহিকটি দেখার টানে। আসলে এই ধারাবাহিকটি দেখতে দর্শকরা এতটাই ভালবাসেন।
যদিও শুরু থেকেই এই ধারাবাহিকের এতটা জনপ্রিয়তা একেবারেই ছিল না। শুরুর দিকে বিভিন্ন সময় কটাক্ষ হজম করতে হয়েছে এই ধারাবাহিককে। কিন্তু পরবর্তীতে এই ধারাবাহিকের গল্পের প্লট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জমে ক্ষীর হয়ে গেছে এই ধারাবাহিকটি। দর্শকরা এই ধারাবাহিকটি দেখতে এতটাই পছন্দ করেছেন যে আজ প্রায় এক বছর বয়সের কাছাকাছি এসেও বেশ ভালো টিআরপি এই ধারাবাহিকের।
এই ধারাবাহিকের এই মুহূর্তের প্লট অনুযায়ী এই ধারাবাহিকের মূল নায়িকা মেঘ এখন নায়ক সৌরনীলের থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। নীলের দোষেই তার থেকে আলাদা হয়েছে মেঘ। যদিও এখনও নীলের জন্য ভালোই ভেবে চলেছে মেঘ। বিভিন্ন প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে মেঘকে ফের নিজের জীবনে ফিরিয়ে আনতে চায় সৌরনীল।
রীতিমতো মেঘকে নিজের জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে চ’রি’ত্র’হী’ন নীল। আসলে চ’রি’ত্র’হী’ন শব্দটা তার জন্য প্রযোজ্য। প্রথমে মেঘের দিদি ময়ূরীকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর বিয়ের মন্ডপে তার বোন মেঘকে বিয়ে করে নেয় সৌরনীল। ময়ূরীর কাছে নিঃসন্দেহে এটা ছিল ভীষণ রকম অপমানজনক একটি ঘটনা।
যদিও মেঘকে বিয়ের পর তাকেও একদিনের জন্য সুখী করতে পারিনি সৌরনীল। প্রতি পদে মেঘের অসম্মান করতে থাকে। তাকে অপমান করে। এরফলে মেঘ তার থেকে দূরে চলে গেলে আবার ময়ূরীকে বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় সে। কারণ ময়ূরীকেই ছেলের বউ হিসেবে চেয়েছিলেন নীলের মা।
আর তাই নীলের মা মীনাক্ষীও উঠে পড়ে লেগেছিলেন মেঘকে তাদের বাড়ি থেকে দূর করার জন্য। এমনকি সৌরনীলের জীবনে ময়ূরীকে নিয়ে আসার জন্য রীতিমতো তাড়াহুড়ো করা শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের তারিখ পর্যন্ত ঠিক করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারী ময়ূরীর চেহারা প্রকাশ পেতেই তাকে বিয়ে করতে অসম্মত হয় সৌরনীল।
আর সৌরনীল ও তার মায়ের এই দ্বিচারিতা সহ্য করেনি ময়ূরী। প্রফেসর সৌরনীল গাঙ্গুলীকে অসম্মান করার সিদ্ধান্ত নেয়। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। সৌরনীলের সামাজিক সম্মানহানি করার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয় ময়ূরী। সেখানে গিয়ে সে নীল এবং তার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও দেখিয়ে পুলিশকে বলে, সৌরনীল তার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স’হ’বা’স করেছে। আর এই অভিযোগের পর পুলিশ কলেজে সবার সামনে দিয়ে নীলকে থানায় তুলে নিয়ে যায়।
যদিও নীলের জন্য মন আঁকুপাকু করছে মেঘের। সে চায় না নীলের কোনও সামাজিক অসম্মান হোক। এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, সমস্ত তথ্য প্রমাণ এবং ময়ূরীর অভিযোগ এই সবকিছুকে মাথায় রেখে পুলিশ নীলকে তাদের হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায় নীলের বাবা-মাকে। ময়ূরী ভাবে তার পরিকল্পনা সার্থক হয়েছে। এইভাবে খুশি হয়ে যায় সে। কিন্তু তখনই সেখানে চলে আসে মেঘ। আর পুলিশকে একটা মিনিট ওয়েট করতে বলে। মেঘের কাছে কি এমন প্রমাণ রয়েছে যা দেখে পুলিশ নীলকে ছেড়ে দেবে? আর কেনই বা নীলের জন্য এত ভাবনা ভাবছে মেঘ?