টলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান শিল্পী তিনি। শুধুমাত্র অভিনয় তার একটিমাত্র গুণ নয়। বহু প্রতিভার মিশেলে তিনি সম্পূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তার পা বরাবরই মাটির। আম জনতার ভিড়ে মিশে থাকতে চান তিনি। আর সেই জন্যই তো সাধারণের মতো ল্যান্সডাউন মার্কেটে বাজারদর জেনে তবেই আনাজ কেনেন তিনি। গলা ছেড়ে গান করেন। আবার সেই মানুষটাই গভীর ভাবে গ্রামের মানুষের কথা ভেবে তৈরি করেন নিজের বিশেষ ধরনের শো।
বুঝতে পারলেন কার কথা বলছি? তিনি বাংলার জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান শিল্পী খরাজ মুখোপাধ্যায়। খরাজ মুখোপাধ্যায় হলেন মাটির তাল। তাকে যে ছাঁচেই ফেলা হোক না কেন তিনি মুহূর্তে তাই হয়ে উঠবেন। শহরের থেকে গ্রামের মানুষ তাকে ভাবায় বেশি! তার কথায়, ‘‘শহুরে চোখ নিয়ে নয়, শো করতে হবে গ্রামের কথা ভেবে। আমি সেটাই করি। আমার শোয়ে গান থাকে, কৌতুক থাকে, অভিনয় থাকে… সব মিলিয়ে পুরো এক ঘণ্টার আসর।’’
আর এবার মহা বিপাকে পড়েছেন তিনি। একজনকে বানান সংশোধন করতে বলে মহা বিপাকে পড়েছেন বাংলার এই জনপ্রিয় অভিনেতা। এসে গেছে বগলা মামা যুগ যুগ জিও। শিশু দিবস উপলক্ষে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ছবিতে বগলা মামা হয়েছেন অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়। তবে বিপদের মুখে পড়েছেন বগলা মামা। কারণ তিনি ফেলু আচার্যকে সম্মান শব্দটির উচ্চারণের ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। আর তাতেই খেপে গেছেন ফেলু আচার্য।
যদিও এটি ট্রেলারের অংশ। ইতিমধ্যে সিনেমা পর্দায় চলে এসেছে। এবং রমরমিয়ে চলছে। এই সিনেমায় নামিদামি তারকার সমাহার। একাধিক চরিত্রে রয়েছেন রজতাভ দত্ত, অপরাজিতা আঢ্য, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, দিতিপ্রিয়া রায়, বিশ্বনাথ বসু সহ তাবড় অভিনেতারা। এই ছবির ভিলেন হলেন ফেলু আচার্য অর্থাৎ রজতাভ দত্ত।
রাজকুমার মৈত্রের লেখা এই কাহিনির প্রেক্ষাপট আটের দশক। আর সেটাকেই এবার বড় পর্দায় নিয়ে এসেছেন ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রেক্ষাপট এক রেখে তিনি নিজের মতো করে সাজিয়েছেন এই সিনেমার গল্পকে। মূল গল্পে বগলার বন্ধুর সংখ্যা ন’জন। তবে এই ছবিতে পরিচালক সেটাকে পাঁচ জন করেছেন। কিন্তু সাজ পোশাক রেখেছেন সেই আটের দশকের মতোই। থিয়েটার পাগল এক মানুষের নানা রকম কার্যকলাপ দেখতে দেখতে অর্থাৎ বগলা মামার বিভিন্ন কাণ্ড দেখতে দেখতে পেটে খিল ধরে যাওয়ার জোগার! আর চেটেপুটে এই গল্প উপভোগ করছেন এখন দর্শকরা।