‘মিঠাই’ এবার শেষের পথে। বর্তমানে একের পর এক ধারাবাহিক টিআরপির অভাবে কিছু মাসেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার বদলে আসছে নতুন ধারাবাহিক। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিন বছর ছুঁতে চলল ‘মিঠাই’। দুষ্টু – মিষ্টি মেয়ের চটাং চটাং কথা, ভাঙাচোরা ইংরেজি শব্দ, অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা জনপ্রিয় করেছিল মিঠাইকে। তবে এবার শোনা যাচ্ছে, এই মাসেই ইতির খাতায় নাম লেখাবে এই মেগাও। তবে শেষ হওয়ার আগেও হয়তো বড় লিপ নিতে পারে ‘মিঠাই’। সেখানে হয়তো মিষ্টি ও শাক্য বড় হয়ে যাবে। যদিও এই চান্স খুব কম। প্রথম থেকেই এই ধারাবাহিকে মিঠাই-উচ্ছেবাবুর জুটিও বেশ প্রিয় দর্শকদের। এই ধারাবাহিকে প’রকীয়ার এন্ট্রি না হলেও মিঠাইকে টক্কর দেওয়ার জন্য একের পর এক মেয়ের এন্ট্রি হয় সিড-এর জীবনে।
সিড যেমন বাস্তবে সকলের ক্রাশ ঠিক সেরম ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকেও তার ক্রাশের অভাব নেই। সম্প্রতি আরও একজন মিঠাই’তে এন্ট্রি নিয়েছে, তিনি হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আয়েন্দ্রি রায়। ধারাবাহিকে তার চরিত্রের নাম রোহিনী বসু। এই রোহিণীর আবার সিডকে পছন্দ। তাই মিঠাই-এর কম্পিটিটর হিসাবেই ধরে নেওয়া যেতে পারে রোহিণীকে। এরআগে অঙ্গি, তোর্সা, সৌমি, মিঠি -এর সকলেই মিঠাই-এর কম্পিটিটর হিসাবে এসেছিল। সকলকে সামলে মিঠাই তার সিড ঠিক আগলে রেখেছিল। এবার রোহিনীকে জব্দ করার লক্ষ্যে মিঠাই।
রোহিনী সিডের কাছে আসার জন্য মোদক পরিবারে চাকরির বেশে প্রবেশ করেছিল। আর তারপর থেকে মিঠাই মনে হচ্ছিল, এই কাজের লোকটি হয়তো রোহিনী। কিন্তু সিড মিঠাই’এর কথা বিশ্বাস করেনি। শেষমেশ মিঠাই নাটক করে নিজের জন্য জুতো আনতে বললে রোহিনী রেগে যায়, আর নিজের ঘোমটা তুলে সকলের সামনে আসে। সিড রোহিনীকে দেখে অবাক। আর সকলের সামনে রোহিনী সিডকে জানায়, সে সিডকে ভালোবাসে। আর এই কাজে মিঠাইকে সাহায্য করেছে রোহিণীর এসিস্টেন্ট প্রিয়াও। এবার রোহিনী মিঠাইকে বলে সিদ্ধার্থকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য। আর তা শুনে মিঠাইও বলে ও ছেড়ে যাবে। এবার এটাই দেখার ধারাবাহিকে রোহিনীকে নিয়ে লেখিকা কোন মোড় আনতে চলেছে, তাই দেখার।