বাংলা টেলিভিশনে টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে এখন রয়েছে জি বাংলা(Zee Bangla)। স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) ব্যাতীত প্রথম পাঁচে আর কোন ধারাবাহিক নেই জলসার। যদিও প্রথম পাঁচে নেই জি বাংলার ধারাবাহিক ‘খেলনা বাড়ি।’
একটা সময় টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যেই থাকতো এই ধারাবাহিকটি। কিন্তু বর্তমানে লিপ নেওয়ার পর এই ধারাবাহিক নিজের আগের জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। কিন্তু এই ধারাবাহিকে শয়তানি বদমাইশি এতটুকুও বন্ধ হয়নি। এখনও পর্যন্ত মিতুলের প্রাণের পিছনে পড়ে রয়েছে ইন্দ্রর ভাই রণ।
আসলে শয়তানি, পরকীয়া, কূটকচালি সবকিছুই ভর্তি এই ধারাবাহিকে। বলা যায় দর্শকদের বিনোদনের জন্য কোনও খামতি নেই এই ধারাবাহিকে। যদিও খেলনাবাড়ি ধারাবাহিকের নায়িকা আর পাঁচটা বাংলা টেলিভিশনের নায়িকার মতো ঘ্যানঘ্যানে কাঁদুনে নয়। তিনি ভীষণ রকম দাপুটে। যিনি বাঙালি দর্শকদের কাছে ‘লেডি রঞ্জিত মল্লিক’ তো আবার কারর কাছে ‘লেডি সিংহম’ হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করছেন নবাগতা টেলি অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। আর তাঁর বিপরীতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘কে আপন কে পর’ খ্যাত অভিনেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ। দর্শকদের কাছে যিনি পরিচিত এখন খেলনা বাড়ির ইন্দ্র নামে। এই ধারাবাহিকে কিছুদিন আগে ১৫ বছরের দীর্ঘ লিপ নেওয়া দেখানো হয়েছে। বলা বাহুল্য অল্প বয়সী যুবতী থেকে রাতারাতি মধ্য বয়সী মায়ের চরিত্রে পদার্পণ করা মিতুলকে হজম করতে একটু হলেও সময় লাগছে দর্শকদের। আর যার প্রতিফলন দেখা গেছে টিআরপি তালিকায়।
ধারাবাহিক লিপ নিলেও শয়তানিও লিপ নিয়েছে। সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লোভে রণ ইন্দ্র এবং মিতুলকে বারবার মেরে ফেলার ছক কষেছে। আর বারংবার সেই জায়গা থেকে বেঁচে ফিরেছে মিতুল। বাঁচিয়েছে নিজের স্বামীকে। কখনও মাটির মধ্যে পুঁতে দিয়ে, কখনও শরীরে বিষ মাখানো ইনজেকশন দিয়ে, আবার কখনও আগুনে পুড়িয়ে কিংবা গুলি করে মেরে। যদিও সবেতেই বিফল হয়েছে রণ।
তবে এবার এক অভ্যর্থ দাওয়াই নিয়ে এসেছে সে। মিতুলকে বেঁধে তাঁর সামনে ইটের গাঁথুনি তুলে দিয়ে মিতুলকে জ্যান্ত মারার পরিকল্পনা করেছে সে। কিভাবে রণর এই ইটের দেওয়াল ভেঙে বেরিয়ে এসে নিজের প্রাণ রক্ষা করবে মিতুল? সেটাই এখন দেখার। যদিও বারবার মিতুলকে মেরে ফেলার এই ব্যর্থ চেষ্টার পর দর্শকরা মিতুলকে মৃত্যুঞ্জয়ী নাম দিয়েছে। এক নেটিজেন আবার লিখেছেন, সবই তো হয়ে গেল এবার মিতুলের শুধু কারেন্টের শক খাওয়াটাই বাকি আছে।