টেলি পর্দার যেকোনও প্রোগ্রামের শেষ কথা বলে টি আর পি। এই টি আর পির জন্য বেশ কিছু ধারাবাহিক বছরের পর বছর ধরে চলেছে। আবার বেশ কিছু ধারাবাহিক মাত্র ৪০০-৬০০ পর্বেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আসলে একটি ধারাবাহিক তৈরির ক্ষেত্রে নির্মাতাদের অনেক দিকের খেয়াল রাখতে হয়, যা হয়তো সাধারণত ওয়েব সিরিজ বা সিনেমার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হয় না।
মনে রাখতে হবে, ধারাবাহিক মানেই সেটা অনেকদিন ধরে সম্প্রচারিত হবে। বরং তার শুরুর দিন থাকলেও দেশের সময় ঠিক করা থাকে না।যতদিন সম্ভব দর্শকদের সেটার মধ্যে জিইয়ে রাখাই যেন ধারাবাহিকের অন্যতম সাফল্য। কিন্তু সেটার জন্যই নির্মাতাদের অনেক কিছু খেয়াল রাখতে হয়।
খেয়াল রাখতে হবে দর্শকদের আর অন্যদিকে আশে পাশের পরিস্থিতিরও। আর সব কিছুর মধ্যে দিয়ে যেটার খেয়াল রাখতে হয়, তা হল টি আর পি। ‘মিঠাই’- এর মাথার তাজ এখন আর তার মাথায় নেই। এমনিতেই গল্পের বাঁধনে মিঠাইয়ের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে দিয়েছিল।
মাঝে দর্শকদের ক্ষোভ হয়েছিল, প্রোমোতে বার বার মিঠিকে মিঠাই বুঝিয়ে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করার জন্য এক ঘেয়ে লাগছিল। তারা চাইছিল ফিরে আসুক মিঠাই। কিন্তু মিঠাই এমন সময়ে ফিরে এল যখন দর্শকরা সবে মিঠিকে ভালোবাসতে শুরু করল। মিঠি সিদ্ধার্থ যখন সংসারটা গুছিয়ে নিতে চাইল তখনই।
কিন্তু দর্শকদের অতি প্রিয় সিদ্ধার্থ – মিঠাই জুটি কিন্তু অবশেষে ফিরছে। আর এরপরই যেন মিঠাইয়ে নতুন করে কিছু নেই। আর মিঠাইয়ের এই তাজ কেরে নিচ্ছে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক বালিঝড়।
এমনিতেই ধারাবাহিক লেখার ক্ষেত্রে লীনা গাঙ্গুলির বেশ বদনাম ও সুনাম রয়েছে। বদনাম হল, বরাবরই তাঁর ধারাবাহিকে একটি ত্রিকোণ প্রেমের বিষয় উঠে আসে। এবং খুব খোলামেলা করে পরকীয়া দেখানো হয়। কিন্তু সুনাম এটাই, গল্পের প্লট টুইস্ট এমন রাখেন যে ধীরে ধীরে কচ্ছপের গতিতে ঠিক শীর্ষে পৌঁছে যান। তাহলে সত্যিই কি মিঠাই “ফুস” হতে চলেছে? আর মিঠাইয়ের তাজ উঠতে চলেছে “বালিঝড়” – এর মাথায়?