বিগত দু’বছর ধরে দর্শকদের বিনোদনের রসদ জোগাচ্ছে ধারাবাহিক মিঠাই! মিঠাই মিঠি হয়ে যাওয়াতে ধার কমেছিল গল্পের! কিন্তু
‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে মিঠাইয়ের প্রত্যাবর্তনের জেরে মোড় ঘুরেছে গল্পের! আসলে বাঙালির সিরিয়াল প্রেম প্রশ্নাতীত! বাঙালির সিরিয়াল প্রেমের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন সিরিয়াল! যদিও সম্প্রতি একাধিক চ্যানেলে বহু সিরিয়াল বন্ধ হয়ে চালু হয়েছে বিভিন্ন নতুন নতুন সিরিয়াল! কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথাও গিয়ে বাঙালির সিরিয়াল প্রেমে কিন্তু কোনও খামতি আসেনি! আর বর্তমানে টেলিভিশনের পর্দায় চলা বিভিন্ন ধারাবাহিকের মধ্যে অন্যতম পুরনো ধারাবাহিক হল মিঠাই! উচ্ছে বাবু ও মিঠাইয়ের প্রেমের রসায়নে দীর্ঘদিন বুঁদ ছিল বাঙালি দর্শক! যদিও সেখানে এখন ভাটা চললেও এই ধারাবাহিকে টুইস্টের কোনও অভাব নেই!
ধারাবাহিকে মিঠাইয়ের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে! যেমন মিষ্টি বানানো ব্যতীত মিঠাইয়ের আর অন্য কোন কিছুই মনে নেই, দর্শকদের কাছে চমক হিসেবে এসেছে মিষ্টি নামের একটি ছোট্ট মেয়ে!
দীর্ঘদিন থেকে মিঠাইয়ের তৈরি আলাদা ছিল সিদ্ধার্থ! এই সময়টা মিঠাইয়ের ছেলে আর সিদ্ধার্থ’র খেয়াল রাখে মিঠি! তবে মহাশিবরাত্রি’র বিশেষ পর্বে বহুদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেখা হয় তাঁদের! দেখেও দু’চোখ জুড়িয়ে যায় দর্শকদের! সিদ্ধার্থ-মিঠাই মুখোমুখি হয়েছে ঠিকই কিন্তু শেষ মুহূর্তে নফর বাবুর লোকজন এসে সিদ্ধার্থকে টেনে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায় অন্যদিকে মিঠাইকেও বস্তাবন্দি করে নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনার পর মিঠাই’কে খুঁজে পেতে বদ্ধপরিকর সিদ্ধার্থ, আর স্মৃতি হারিয়ে কিছুই বুঝতে পারছে না অসহায় মিঠাই!
কিন্তু, মিঠাই ফিরে আসায় একেবারেই খুশি নয়, মোদক পরিবার! আর তাই বেজায় ক্ষাপ্পা ভক্তরা! তাঁরা বলছেন, জি বাংলা যদি কোনওদিন সেরা স্বার্থপর অ্যাওয়ার্ড রাখে তাহলে তার যোগ্য দাবিদার হবে মোদক পরিবার! এমনকী দর্শকদের চোখে ভিলেন’ হয়ে গিয়েছে একসময়ের প্রিয় ঠাম্মি। কারণ তিনি চান সিদ্ধার্থ আর মিঠির সম্পর্কটা যেন মজবুত হয়। তিনি বলেছেন, মিঠিকেই স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে সিদ্ধার্থকে, এমন কথা তিনি কড়াভাবে নাতিকে জানিয়ে দিয়েছেন।
এমনকী হল্লা পার্টি’ও এখন মিঠাইয়ের থেকে মিঠি’কে বেশি পছন্দ করছে! তাতেই ক্ষেপেছে ভক্তকূল! সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা লিখেছেন, “রাইটার এতটা স্বার্থপর ভাবে কেনো প্রেজেন্ট করছে,,,শ্রী কথা টা কিভাবে বললো যে by any chance মিঠাই বেচে থাকে তাহলে মিঠি আর দাদাভাই এর সম্পর্ক টা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে,,মানে সিরিয়াসলি মিঠাই ফিরে আসতে পারে ভেবে এদের আনন্দ না হয়ে এরা ইনসিকিউরিটি তে ভুগছে মিঠি কে নিয়ে ওরা এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলো মিঠাই এর অবদান!’
একজন লিখেছেন, “আর তোর্সা তো চাইছে মিঠি আর সিড কে বেধে রাখতে যেন ওরা মিঠাই বেচে আছে এটা নিয়ে কোনো ইনভেস্টিগেট না করে! এরা ভুলে গেলো মিঠাই কে সিড ঠিক কতটা ভালোবাসে,,সিড এর জীবন এ মিঠাই কতটা ইমপরটেন্ট, এদের আচরণ গুলো চোখে ভীষণ ভাবে বাধছে!” একইসঙ্গে তাঁর আশঙ্কা যদি মিঠির মধ্যে সিডের জন্য একটুও কোন ভালো লাগা বা ভালোবাসা তৈরি হয় সেটা কি শুধু নেহাত মিঠির দোষ হবে?? এরা তো প্রায় জোর করেই মিঠিকে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে ওঁর একমাত্র সিডকে ভালোবাসা উচিত!! এমনকি তিনি এই গল্প বদলের অনুরোধ করেছেন লেখিকার কাছে!