বাংলা বিনোদনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম টেলিভিশন এবং সেই টেলিভিশনে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হচ্ছে মিঠাই(Mithai)। বিগত দু’বছর ধরে দর্শকদের বিনোদনের রসদ জোগাচ্ছে ধারাবাহিক মিঠাই। বর্তমানে টেলিভিশনের পর্দায় চলা বিভিন্ন ধারাবাহিকের মধ্যে অন্যতম পুরনো ধারাবাহিক হল মিঠাই। উচ্ছে বাবু(Ucche Babu) ও মিঠাইয়ের প্রেমের রসায়নে দীর্ঘদিন বুঁদ ছিল বাঙালি দর্শক! যদিও সেখানে এখন ভাটা চললেও এই ধারাবাহিকে টুইস্টের কোনও অভাব নেই। বর্তমানে মিঠাই সিডের ছেলে শাক্য(Shakya) এবং মিষ্টি (Mishti) এই ধারাবাহিকের অন্যতম আকর্ষণ।
বিগত ২ বছরের বেশি সময় ধরে টানা দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছে এই ধারাবাহিক। বিভিন্ন সময় এই ধারাবাহিকের মাথায় উঠেছে একাধিক সেরার শিরোপা। সেইসঙ্গে দর্শকদের অফুরান ভালোবাসা। সম্প্রতি জি বাংলা সোনার সংসার পুরস্কারের মঞ্চেও বেশ অনেকগুলি খেতাব জিতেছে এই ধারাবাহিক। টিআরপি তালিকায় নম্বর কমলেও দর্শকদের মনে আজও রাজ করছে মিঠাই-সিড।
বর্তমানে দর্শকদের দিল জিতে নিয়েছে এই ধারাবাহিকের ক্ষুদে দুই সদস্য। শাক্য ও মিষ্টি। এই ধারাবাহিক লিপ নেওয়ার পর মিঠাই ও সিডের ছেলে হিসেবে এন্ট্রি হয়েছিল শাক্যর। আর মিঠাইয়ের সঙ্গে আসে মিষ্টি। তবে বর্তমানে এই ধারাবাহিকের মিষ্টিকে দেখা গেল সেই অর্থে দেখা মেলেনা শাক্যর। একসঙ্গে খেতে বসা হোক বা কোনও পারিবারিক মুহূর্ত দেখা যায়না শাক্যকে। আর যা নিয়ে ক্ষোভ দর্শকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভক্ত লিখেছেন, “আজকাল শাক্য কে আর দেখায় যায় না,,specially এই seen গুলোতে ওকে রাখতে পারতো,, মিষ্টি আর শাক্য দুজনকে সিন এ রাখলে এপিসোড গুলো তে আলাদাই একটা স্নিগ্ধতা আসে।” দেখা যাক দর্শকদের দাবি মেনে আবার শাক্যকে আগের মতো করে ফেরায় কিনা নির্মাতারা।
উল্লেখ্য, শাক্যর আসল নাম ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী। মাত্র ৫ বছর বয়সেই দর্শকমনে রাজত্ব করছে সে।তবে অভিনয় করে যে সে এই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এমনটা নয়, গানের মধ্যে দিয়ে এই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভালো রকমের পরিচিতি পেয়েছে এই ক্ষুদে তারকা।মাত্র ৫ বছর বয়সে সে ভারতবর্ষের একাধিক ভাষায় গান গেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই বয়সেই সে ৭০টির বেশি গান রেকর্ড করে ফেলেছে এই খুদে তারকা। ইউটিউবে ধৃতির ফলোয়ার্সের সংখ্যাও প্রায় সাড়ে চার হাজারের কাছাকাছি।
সম্প্রতি ধৃতিষ্মান নিজের মা সোনম চক্রবর্তীর সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিল দিদি নং ১-এর মঞ্চে। সেখানেই তাঁর মা জানিয়েছেন, বাংলা, হিন্দি, সংস্কৃত, তামিল, তেলেগু, অহমিয়া, ইংরেজি একাধিক ভাষায় গান গেয়েছে ছোট্ট ধৃতিষ্মান। এরপর দিদির অনুরোধে অহমিয়া গান গেয়ে শোনায় পর্দার শাক্য।