মিঠাই ও সিড আর তাঁদের গুছিয়ে রাখা সংসার মনহরা। এই দৃশ্যটা দেখার জন্যই তো দর্শকরা উতলা হয়ে রয়েছে। আর সেই দৃশ্যে বার বার নানা পরিস্থিতি নানা মানুষ বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। কখনও পরিস্থিতি সাথ দিচ্ছে না, আবার কখনও ওই মনোহরার মানুষেরা মাথা খারাপ করে দিচ্ছে।
তার মাঝে মিঠির সঙ্গে বিয়ে নিয়ে মেতে উঠছে বাড়ি শুদ্ধু লোক। তাতে সিডের ঠামমীর পাশাপাশি রয়েছে জা তোর্সা। আর তাতে তালে তাল মিলিয়ে ননদ শ্রী। এক কথায় দর্শকরা এটাকে “ঢং” বলেই এড়িয়ে যেতে চাইছে। প্রথমত পুরোনো কথা কি ভুলে গিয়েছে নাকি দর্শকরা!
এমনিতে মিঠাই কোনও দিনই শুধুমাত্র একটা ধারাবাহিক হয়ে থেকে যেতে পারেনি। বরং নিজের বাড়ির মেয়ে হয়ে গিয়েছে। তাই তার সব ঘটনাই দর্শকরা মনে রেখেছে।
এই যেমন তোর্সার কথা কি ভুলে গিয়েছে নাকি দর্শকরা? কীভাবে প্রথম দিকে সিডের দিকে নজর পেতেছিল তোর্সা।
সেই বিষয়ে কি কিছু মনে নেই দর্শকদের। সবই মনে আছে। তখন মিঠাই এর জীবনে অন্যতম সমস্যা হয়ে উঠেছিল। এমনকী শুধুমাত্র সিডকে পাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ অন্য একজনকে বিয়ে পর্যন্ত করে ফেলল। সোমদাকে বিয়ে করে সিডের বাড়ির বৌদি হয়ে এসেছিল তোর্সা। যাতে একসঙ্গে একই বাড়িতে থাকলে অনেক বেশি সময় কাটাতে পারবে।
কিন্তু সিড তখনতো ওদিকে মন দেয়ইনি। উল্টে এখন যখন মিঠাইকে নিয়ে কষ্ট পাচ্ছিল সিড তখন বাড়ি থেকে মিঠিকে নিয়ে প্রেসার দেওয়া হচ্ছে। ওদিকে শ্রী সেও তো কিছু না কিছু করেই যাচ্ছে। আর এতেই দর্শকদের গা যেন জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।
তবে সবথেকে বড় প্রশ্ন জেগে উঠেছে দর্শকদের মনে। শ্রী এবং তোর্সা কেউই একজন সাধারণ হাউস ওয়াইফ নয়। দুজনেই বেশ বড় এবং ভালো চাকরি করে। তাহলে কীকরে শুধুমাত্র সারাদিন ষড়যন্ত্র করার জন্য বাড়িতে থাকে! আর এই এক বেশ যৌক্তিক প্রশ্ন দর্শকদের মনে ঠেকেছে। এক, তাঁদের সারাদিন এত বাড়িতে থাকার কথাই নয়। কাজ না করলে চাকরি তো আর এমনি এমনি থাকবে না। দুই, কাজ করলে মিঠাইয়ের পিছনে কলকাঠি কম নাড়বে। সুতরাং না থাকবে বাঁশ, না বাজবে বাঁশি।