টেলিভিশনের পর্দায় যুগ যুগ ধরে একটাই ছকে বাঁধা গল্প হিট হয়েছে আর সেটা হলো দুষ্টের দমন। শত্রুর বিনাশ করে হিরো বা হিরোইনরা। ছোট পর্দা হোক কী বড় পর্দা সব জায়গায় এই এই ফর্মুলা হিট। কারণ দর্শকরাই হ্যাপি এন্ডিং চায়।
তবে কোনোদিন কি ভিলেনের মৃত্যুতে কাঁদতে দেখেছেন দর্শককে? এবার সেটাও হলো। হ্যাঁ, মিঠাই ধারাবাহিক তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন আসল গল্পটা বলা যাক।
আসলে বাংলা সিরিয়াল বরাবর নারীকেন্দ্রিক। সেখানে হিরো আর ভিলেন দুই ক্ষেত্রেই মহিলারাই সর্বেসর্বা। কিন্তু মিঠাই ধারাবাহিকের নেগেটিভ চরিত্রে একজন পুরুষই হিট হয়ে গেলেন। আর তিনি যে এভাবে দর্শকদের মনে দাগ কেটে যাবেন এটা সত্যিই ভাবা যায় না।
এই ভিলেনটি হলেন ওমি আগরওয়াল। হ্যাঁ, সেই ওমি যে বারবার সিডকে মারার চেষ্টা করছে। এবার চারিদিকে তার জয়জয়কার। এ আবার কেমন ব্যাপার? এটা পুরোটাই কামাল অভিনেতা জন ভট্টাচার্যর। নিজের অভিনয় দিয়ে তিনি তাক লাগিয়ে দিতে পেরেছেন। ভিলেন হয়েও সেই চরিত্র দর্শকদের মনে দাগ কেটে গেছে।
আসলে নানা সময়ে ভিলেন ওমি নানারূপে মনোহরাতে এসেছে আর এটাই চমকে দেওয়ার মত লেগেছে দর্শকদের। কিছুদিন আগে ওমি অসুস্থতার নাটক করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় জেল থেকে এবং তারপরেই মনোহরাতে এসে সিদ্ধার্থকে মারার চেষ্টা করতে থাকে সেটা আবার এক বুড়ো লোক সেজে। যদিও পরে আবার তার কারসাজি ধরা পড়ে যায়।
View this post on Instagram
কিন্তু আগামী পর্বের প্রিক্যাপ দেখে চমকে উঠলো মিঠাই দর্শকরা। ওমির দেহ নিথর অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে এটা দেখেই কেঁদে ফেলল আপামর বাঙালি দর্শক। এমনটা সাধারনত বাংলা সিনেমা বা ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে খুব বিরল। পুলিশের সঙ্গে লড়াই করার সময় পুলিশের গুলি খেয়ে মারা গেল ধারাবাহিকের ভিলেন আর কেঁদে ফেলল বাঙালি দর্শক।
View this post on Instagram
এই দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে জন নিজে কিন্তু আহত হয়েছেন।জনের কথায়, “যখন আমি চরিত্রটা পাই একটু ধন্দ ছিল। কারণ প্রথম বার খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ। একটু ভয়েই ছিলাম। কিন্তু তার পর দেখলাম এই খলনায়ককেই মানুষ ভালবাসতে শুরু করেছে।” শেষ শটে পিস্তলের বারুদে আঙুলে রক্তারক্তি অবস্থা, পায়েও বেশ চোট পেয়েছেন। কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্বে দর্শকের ভালবাসা।