জি বাংলার ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora) তিন বোনের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হওয়া এক ধারাবাহিক। গল্পের মূল বক্তব্য হলো তিন বোনের পথচলা আলাদা হলেও জীবনটা একই সুতোয় গাঁথা। এখানে বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘আরাত্রিকা মাইতি’ (Aratrika Maity) , মেজ বোনের চরিত্রে ‘দেবাদ্রিতা বসু’ (Debadrita Basu) , এবং ছোট বোনের চরিত্রে ‘স্বপ্নীলা চক্রবর্তী’ (Swapnila chakraborty)। গল্প তিনি বোনের হলেও, প্রথম থেকেই দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে স্বপ্নীলা চক্রবর্তী ওরফে স্রোতস্বিনী মুখার্জি।
ধারাবাহিকের গল্প দর্শকদের আশা পূরণ না করতে পারলেও, এখনও পর্যন্ত দর্শকেরা যে কারণে এই ধারাবাহিক দেখা বন্ধ করেননি, সেটা হলো রাইপূর্ণার ছোটো বোন স্রোত। স্রোতের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয় এই ধারাবাহিকের গল্প, এরপর কলেজে দেখা হয় ডক্টর স্বার্থক সেনগুপ্তর (মৈনাক ঢোল) সাথে। প্রথমে দুজন দুজনকে কোনও মতেই সহ্য করতে পারতেন না, অথচ দর্শকরা ঠিকই জানতেন দুজনের মিল একদিন হবেই।
বর্তমান ট্র্যাকে দুজনের বিয়ে হয়েছে এবং ভালোবাসাও বেশ মাখো মাখো, আর দর্শকেরা এতেই আনন্দ পাচ্ছেন রাই আর নীলুকে ভুলে। এদিন এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি বসে স্বপ্নীলা এবং মৈনাক ভাগ করে নেন নিজেদের এই চরিত্রের অভিজ্ঞতা। “স্বপ্নীলা খুব চঞ্চল, আর শরীরে বাড়লেও মনে প্রাণে বাচ্চাই থেকে গেছে।”— মৈনাক এই কথা বলেন। অপরদিকে স্বপ্নীলা মৈনাকের উদ্দেশ্যে আনে হাজারো অভিযোগ।
স্বপ্নীলার কথায়, “খুব বাজে লোক! রোমান্টিক সিনে কানে ফুঁ দেয়, দাড়ি দিয়ে গেল ঘষে দেয়।” সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, পর্দার বাইরেও কি দুজন স্রোত আর স্বার্থকের মতো? মৈনাক বলে, “আমি মরে গেলাম কি বেঁচে রইলাম ছুটির দিনে একবার খোঁজও নেয় না স্বপ্নীলা, উল্টে আমি ফোনে ম্যাসেজে কোত্থাও পাইনা।” স্বপ্নীলা বলে, “আমার এটা বাজে অভ্যাস যে ফোন রেখে এদিক ওদিক চলে যায়, আর মৈনাক দা হচ্ছে একেবারে পর্দার স্বার্থকের আয়ানা।”
আরও পড়ুনঃ পারুলকে রায়ান দিল বিশেষ উপহার! এটাই কি রায়ানের ভালোবাসার স্বীকারোক্তি নাকি নিছক বন্ধুত্ব? এবার আরও কাছাকাছি পারুল-রায়ান! ইউনিভার্সিটিতে রবীন্দ্রজয়ন্তীর নাটকে কে হবে নন্দিনী?
সাংবাদিক জানতে চান যে আগের স্রোত আর স্বার্থকে কি মিস করছেন দুজনে? উত্তরে দুজনে সহমত হয়ে বলে, “এখনের সম্পর্কটায় অন্য অনুভূতি আছে, তবে আগের যে ঝগড়ার সম্পর্কটা ছিল সেটাকে মাঝে মাঝে মিস অবশ্যই করি।” এদিন স্বপ্নীলা বলে, “আগের স্বার্থক স্যার এর বকাটা খুব মিস করি, আগে কত ভালো ছিলেন, এখন একটু একটু নটি হয়ে গেছেন।” সব মিলিয়ে বলাই যায় যে দুজনের সম্পর্কের রসায়নেই এই ধারাবাহিককে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইউএসপি। আপনাদের কেমন লাগে দুজনকে?