বর্তমানে জি বাংলার ( zee bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল নিম ফুলের মধু (neem phuler madhu)। প্রথম দিন থেকেই এই ধারাবাহিক নিজের অভিনবত্বের জন্য দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। যতদিন এগিয়েছে ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। প্রত্যেক সপ্তাহেই টিআরপির (trp) লড়াইতে দারুন ফল করে দেখাচ্ছে নিম ফুলের মধু। পর্ণা চরিত্রটিতে দারুন অভিনয় করছেন পল্লবী শর্মা ( pallabi sharma)। রুবেল দাসের ( rubel das )সাথে তার জুটি দর্শকরা খুব পছন্দ করছেন এই মুহূর্তে।
গল্পের শুরুতেই দেখা যায় সৃজনের মাকে অর্থাৎ নিজের শাশুড়ি মাকে পর্ণা বার বার বলতে থাকে যে, আমরা মেয়েরা সবকিছু ছেড়ে বিয়ে করে স্বামীর পরিবারে আসি কিন্তু এখন যদি আপনি আমাকে এখান থেকে তাড়িয়ে দেন তাহলে আমি কোথায় যাব। তখন ঠাম্মি এগিয়ে এসে বলে যে আমি অনুমতি দিচ্ছি তোমাকে এ বাড়িতে থাকার জন্য। আমি পর্ণাকে বলে যে আজকে থেকে এই বাড়ি তোর এবং এই সংসারকে সুখে রাখার দায়িত্ব তোকেই নিতে হবে। এ কথা শুনে খুব খুশি হয় পর্ণা।
এরপর সবাই সৃজন এবং পর্ণাকে নিয়ে ঘরে যায়। চয়ন, বর্ষা, রুচিরা সবাই যায় বাসর রাত জাগবে বলে। এরপর যখন সবাই বাসর রাতে নাচ-কান করছে তখন দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে মেরে দেখতে থাকে সুইটি। সৃজন সেটা দেখে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে ধরে সুইটিকে। তখন সুইটি সৃজনকে বলে এরকম বাড়াবাড়ি করার কি মানে? সে তো সৃজনের বউ হয়েছিল এতদিন তো সৃজন আবার পর্ণাকে কেন বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে এলো? এর উত্তরে সৃজন বলে যে সে কোনদিনই সুইটিকে নিজের স্ত্রী বলে মেনে নেয় নি সে বরাবরই পর্ণাকে ভালোবাসে এবং সেই জন্যই তাকে বিয়ে করেছে। তখন সুইটি সৃজন কি হুমকি দিয়ে বলে রাখে যে সে পর্ণার সমস্ত পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে আর পুরনো স্মৃতি ফিরলেই শুরু হবে অশান্তি।
এরপর সৃজন ঘরে এসে দরজা দিয়ে বাকিদের সবাইকে সুইটি যে লুকিয়ে তাদের ওপর নজর রাখছে সেটা জানায়। তখন পর্ণা বলে যে সুইটির গ্রামে গেলে ওর বিরুদ্ধে আমরা প্রমাণ জোগাড় করতে পারব। তখন পর্ণা সবাইকে জিজ্ঞেস করেছে এতে সবাই তার পাশে থাকবে কিনা। এর উত্তরে সবাই জানে যে তারা সব সময় পর্ণার পাশে আছে। এরপর সবাই ছদ্দবেশ নিয়ে রঘুনাথপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: স্টেশনে রাত কাটিয়েছেন, প্রচুর অডিশন দিয়েও সুযোগ পাননি, কঠিন লড়াই করে আজ সূর্যের দীপা হয়ে উঠেছে স্বস্তিকা! অভিনেত্রীর জীবনের লড়াইয়ের গল্প জানলে চমকাবেন আপনিও!
ও ওদিকে দেখা যায় রঘুনাথপুরে সুইটির বাবা-দাদাসহ রঘুনাথপুরে সব ঠগ জোচ্চোররা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে যে তারা আর এখন ঠকানোর মতো মুরগি পায় না। বড় গাড়ি করে সেখানে হাজির হয় সৃজন পর্ণারা। বড় গাড়ি থেকে একে একে নেমে আসে সৃজন ,চয়ন, রুচিরা এবং পর্ণা। ছদ্মবেশ দেখে তাদের বিদেশি ভেবে ফেলে রঘুনাথপুরের ঠগ জোচ্চোররা। তারা ভাবে এদের ঠকিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নেবে। এরপর গল্পে কি ঘটবে তা জানা যাবে আগামী পর্বগুলোতে।